আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। এই কাণ্ড ঘটানোর আগে মোট চারবার হাসপাতাল চত্বরে ঢুকেছিল সঞ্জয় রায় বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। আগেও আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। একের পর এক অপরাধ করে কেমন করে বাঁচত সঞ্জয়? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এমনকী এই ধর্ষণ–খুনের পরেও এক মহিলাকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেয় সঞ্জয় বলে তথ্য পেল সিবিআই।
ধর্ষণ করে খুনের অপরাধ করার অভিযোগে এখন সিবিআইয়ের হাতে আছে সঞ্জয় রায়। তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও তল খুঁজে পায়নি সিবিআই। কেটে গিয়েছে একসপ্তাহ। সিবিআই অফিসাররা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। এমনকী তদন্তে নতুন কোনও মোড় এসেছে তাও প্রকাশ্যে আনতে পারেননি। এবার কিছু নয়া তথ্য পেল সিবিআই। সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা বা লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। এখন সিবিআই অফিসাররা জানতে পেরেছেন,ধর্ষণ–খুনের আগের দিন সকাল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত মোট চারবার আরজি কর হাসপাতালে যায় সঞ্জয় রায়।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার তদন্তে দুই দুঁদে মহিলা আইপিএস, একসপ্তাহ পেরিয়ে গেল
জনরোষ তৈরি হচ্ছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। গত কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালে সঞ্জয় রায়ের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। অধিকাংশ রাতেই সে প্রচণ্ড মদ্যপান করে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকত। ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করত হাসপাতালে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার দিন সঞ্জয় আর এক সিভিক ভলান্টিয়ার বন্ধুর সঙ্গে হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল। ওই বন্ধুর কোনও নিকটজনকে ভর্তি করতে হাসপাতালে ঢোকে সঞ্জয়। ধর্ষণ–খুন করার আগে আরও দু’বার সঞ্জয় হাসপাতালে ঢুকেছিল। এই তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু কেন বারবার সঞ্জয়ের আরজি কর হাসপাতালে প্রবেশ? এটা নিয়ে সিবিআই মুখ খোলেনি।
এছাড়া অপরাধীর ফাঁসি চেয়ে পথে নামেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইকে ডেডলাইন বেঁধে দেন। অপরাধীকে ধরে তার ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয় রায়ের এতটাই সাহস বেড়ে গিয়েছিল যে, সে রাস্তায় নানা সময়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করত। ধর্ষণ–খুনের ঘটনার দিন বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার চেতলা এলাকাতেও সঞ্জয় এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ওইদিন রাত ৮টা নাগাদ সঞ্জয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যৌনপল্লিতে যায়। ফেরার পথে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে আর একটি মেয়েকে বিরক্ত করে। এখন দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই।