আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আজ সোমবার মামলার শুনানি ছিল। আর তা শেষ হতেই আরজি কর হাসপাতালে এলেন সিবিআই অফিসাররা। আজই সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। আবার সামনের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার শুনানি। আর আজই দুপুরে সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের টিম পৌঁছয় আরজি কর হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে তদন্ত করছেন সিবিআই অফিসাররা।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই সেটা চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা অগ্রগতি তার উপর ভিত্তি করেই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুতরাং তদন্তভার নেওয়ার একমাস কেটে গেলেও এল না জাস্টিস। বরং বিচার চেয়ে ক্রমশ চড়ছে আন্দোলনের সুর। এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণ–খুন মামলার শুনানি হল। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: ‘সীমান্ত সিল করা হোক যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় না ঢোকে’, কড়া নির্দেশ মমতার
অন্যদিকে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা সিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। তারপর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা চলুক। এটার পর আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করুক সিবিআই। সেক্ষেত্রে ১৭ তারিখ আবার শুনানি হতে পারে। তার মধ্যে সিবিআই যেন ভাল করে রিপোর্ট তৈরি করে।’ এই নির্দেশের পরই আরজি কর হাসপাতালে ঝাঁপিয়ে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা।
এছাড়া আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর সিবিআই তদন্তভার নেওয়ায় তাদের হাতে যায়। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত একজনই। এবার শুনানি শেষের পরই আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে ঢুকলেন সিবিআই অফিসাররা। এখন দেখার আগামী শুনানিতে যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে তাতে কী উল্লেখ করে সিবিআই গোয়েন্দারা।