আজ মহাপঞ্চমী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কলকাতা থেকে জেলা। আর তার মধ্যেই বড় খবর হয়ে গেল। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সোমবারই চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে ২১৩ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। আর আজ, মঙ্গলবার সেই চার্জশিটের কপি তুলে দেওয়া হল মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের হাতে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। তারপর ২৪ ঘণ্টায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। আর ৫৫ দিন পর কলকাতা পুলিশের তদন্তেই সিলমোহর দিয়ে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
আজই শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হয় আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। সেখানেই সিবিআই অফিসাররা সঞ্জয়ের হাতে চার্জশিট তুলে দেয় বলে খবর। সেই চার্জশিট সই করিয়ে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারককে সেই নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ৫৫ দিন পর সঞ্জয় রায়কেই ধর্ষণ–খুনের মূল অভিযুক্ত বলে তকমা দিয়েছে সিবিআই। সুতরাং কলকাতা পুলিশ যে সঠিক পথে তদন্ত করছিল সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ‘আমি খুশি মানুষ স্থায়ী সরকার গড়তে ভোট দিয়েছেন’, উপত্যকার ফলে মেহবুবার বার্তা
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ আদালতে সঞ্জয় রায় ছিল একদমই চুপ। একটিও কথা বলেনি। চুপচাপ থেকে সই করে চার্জশিটের কপি নিয়েছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ–খুনের মূল মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মূল অভিযুক্ত ধৃত সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়ের। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত চার্জশিট নয়। আরও কিছু জানানো হতে পারে পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে।
সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর হাসপাতালে সঞ্জয়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তুলে ধরেছে তদন্তকারীরা। জেরায় অপরাধের কথা সঞ্জয় কবুল করেনি। খুন–ধর্ষণে জড়িত সেটার প্রমাণ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে সঞ্জয়ের রক্তমাখা জামাকাপড়–জুতো। একাধিক নমুনা যে সঞ্জয়েরই সেটা প্রমাণ হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টে। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। আঘাতের জেরেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সিবিআই চার্জশিট অনুযায়ী, তরুণী গণধর্ষণের শিকার হননি।