আরজি কর হাসপাতালে আজ, রবিবার পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসেন লালবাজারে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। চারদিক তিনি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। তিনি আরজি কর হাসপাতালের একাধিক বিল্ডিংয়ে ঘুরে দেখলেন। তারপর সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বললেন। একইসঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টা সুনিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করতে দেখা গেল। নিজে গোটা বিষয়টা স্বচক্ষে দেখেন। তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পুলিশ কমিশনার সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। তবে রবিবার দুপুরে হঠাৎ আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে হাজির পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে এখনও সোচ্চার হয়ে আছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে আবার আরজি কর হাসপাতালে গেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। আগামীকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে পুলিশ কমিশনারের এই সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ জুনিয়র ডাক্তাররা দুটি বিষয় জানিয়ে দেন। এক, সব সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। দুই, সুপ্রিম কোর্টের রায় যদি মনের মতো না হয় তাহলে সোমবার বিকেল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে কাঁদলেন অনুব্রত, মমতা–অভিষেকের নামে করলেন প্রার্থনা
অন্যদিকে এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরই আজ ছুটির দিন আরজি কর হাসপাতালে ছুটলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের হাতে মারধর খান জুনিয়র ডাক্তার–সহ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মারধর করার পাশাপাশি আরজি কর করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় কর্তব্যরত এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে। তারপর থেকেই তেতে ওঠে জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে কোথায় কেমন জোর দিতে হবে সেটা খতিয়ে দেখেন তিনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং প্রসূতি বিভাগেও ঢুকতে দেখা যায় মনোজ ভার্মাকে।
এছাড়া শনিবার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম–সহ দফতরের পদস্থ অফিসাররা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। পরে বাইরে এসে নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রশাসনকে চূড়ান্ত ডেডলাইন বেঁধে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেলের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতালে প্রশাসন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করতে পারলে আবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে নিয়োগ করা হয় মনোজ ভার্মাকে।