আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি হানা দিতে শুরু করেছে তাঁর বাড়িতে। আর এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। তার প্রাক্কালে মেয়েদের রাত দখল করার কর্মসূচি হয়। এখান থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করা হয়েছে। আর যে মহিলা কুণাল ঘোষকে চড় মারার কথা বলেছেন তাঁর ভিডিয়ো নিয়ে নিজের পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ।
আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার পর একমাস কেটে গিয়েছে। জাস্টিস মেলেনি। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ। আজ, সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিয়ো এবং নিজের জবাব তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। আর তাতে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। কারণ যিনি কুণাল ঘোষকে চড় মারবেন বা চুল টেনে ছিঁড়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি একজন অভিনেত্রী। নাম পাপিয়া অধিকারী। এবার তাঁকেই পর পর দুটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল।
আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর সিবিআই তদন্তভার নেওয়ায় তাদের হাতে যায়। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত একজনই। এই ঘটনায় রাত দখল থেকে ভোর দখল সবই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাপিয়া অধিকারীর হুঁশিয়ারি, ‘কুণাল ঘোষকে ওর জায়গা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দিতে হবে। একটা জেলখাটা আসামী। আজকে অন্তত কথা বলবেন না কুণাল ঘোষ। এতগুলো মেয়ে কিন্তু বাইরে থাকে। একবার আপনার যেটুকু চুল আছে সেটা ধরে যখন মাটিতে নামিয়ে দেবে তখন বুঝতে পারবেন আপনি কে। আপনি আর কথা বলবেন না। আপনাকে দিয়ে যারা কথাগুলি বলাচ্ছে তারা আপনার কেউ নয়। বাঁচালে আমরাই বাঁচাবো, সাধারণ মানুষ। তা না হলে একেকটা চপেটাঘাতে আপনি কোথায় যাবেন তা জানেন না।’
আরও পড়ুন: ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’, মার্কিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে সুখেন্দুর নয়া পোস্ট
এরপরই শুরু হয় কুণাল ঘোষের জবাব দেওয়ার পালা। প্রথম এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে ভিডিয়ো শেয়ার করে কুণাল লেখেন, ‘দেখলাম। মহিলা বলে সুযোগ নিলেন। চড়??? মনে রাখলাম। আরজি করে কোনো অন্যায় সমর্থন করিনি। ভুলকে ভুল বলেছি। ন্যায়বিচার চাই। ধানতলা, বানতলায় কোথায় ছিলেন???? হ্যাঁ, জেলে ছিলাম। দোষী নই। লড়ছি আইনে। আর জোড়া খুনের সাজাপ্রাপ্ত ১২ বছর জেলে থাকা কমরেডকে নিয়ে বিচার মিছিল? নাটক করছেন।’ তারপর সরাসরি নাম উল্লেখ করে দ্বিতীয় পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘পাপিয়া অধিকারী নামে এক প্রাক্তন নায়িকা, একদা সিপিএম, পরে বোধহয় বিজেপি প্রকাশ্যে আমাকে চড় মারবেন, চুল ধরে টানবেন, মানে খামচাখামচি টাইপের হুমকি দিয়েছেন দেখলাম। আমার চুল কমে এসেছে। সেগুলোতে নজর দেওয়া ঠিক নয়। বরং চুল বাড়ার কোনো ওষুধ থাকলে জানান। ফুটেজ খাচ্ছেন খান। শুভেচ্ছা।’