আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। তাঁকে দেখতে তাঁর বাবা কদিন আগে এসেছিলেন। অনিকেত ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। সঠিক সময় মেনে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেত মাহাতোর প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। আর আপাতত তিনি এখন অনশনে যোগ দিতে পারবেন না।
এদিকে আজ হাসপাতাল থেকে অনিকেত ছাড়া পাওয়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনরত বাকি ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্যও জানান তাঁরা। ১০ দফা দাবিতে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কয়েকজন ডাক্তার। ৬ তারিখ তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দেন অনিকেত মাহাতো। অনশনের জেরে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তারপর ১০ তারিখ অনিকেতের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়। অনশন মঞ্চে থাকা ডাক্তাররা প্রাথমিক পরীক্ষা করার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন। আজ ছাড়া পেলেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে বিজেপি কটি আসন জিতবে? বৈঠকেই খোলসা হয়ে গেল আসল চিত্র
অন্যদিকে হোম কেয়ারে রেখে ভাল খাবার, বেশি পরিমাণ জল খেতে হবে। কমপক্ষে সাতদিন বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে অনিকেত মাহাতোকে বলে জানান চিকিৎসকরা। দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় অনিকেত মাহাতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলেছিল। তাতে একটু ভয় পেয়ে যাড় সকলে। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘অনিকেতের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হওয়ার পরও ও হাসপাতালে যেতে চাইছিল না। আমরা জোর করেই পাঠিয়েছিলাম।’
এছাড়া প্রেসার মাপার পাশাপাশি খেতে হবে তেল–মশলাবিহীন খাবার। আজ হুইল চেয়ারে করে আরজি কর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন অনিকেত। সঙ্গে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ। চিকিৎসক সোমা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘দ্বিতীয়বার মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের পর আজ আবার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এখন সে ভাল রেসপন্স করছে। তাই ডিসচার্জ করা হল। তবে খাবার ও ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে।’ আজ সন্ধ্যায় ৭টায় সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।