আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। এই আবহে এবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল সিবিআই দফতরে যায়। কারণ যে আশা নিয়ে এই তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল তার গতিপ্রকৃতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আন্দোলন থেকে এখন তাঁরা সরে আসছেন না।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো? এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এবার সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানিয়ে দেন, এখনই কাজে ফিরছেন না। বরং কর্মবিরতি যেমন চলছিল তেমন চলবে। ১৪ অগস্ট তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তার পর কেটে গিয়েছে ৯ দিন। কিন্তু সেরকম কোনও অগ্রগতি কারও চোখে পড়েনি। তাই এই তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট তাঁরা।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপ, দুর্নীতির তদন্তেও সিবিআই
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আজও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে এই প্রতিনিধিদল আজ সিবিআই দফতরে গিয়েছিল তদন্তের অগ্রগতির কথা জানতে। কিন্তু সিবিআই অফিসারদের পক্ষ থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই তদন্ত চলছে আদালতের নজরদারিতে। সুতরাং গোটা বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই বিষয়ে কিছু কাউকে জানানো যাবে না। আজ, শুক্রবার এই কথা শোনার পরেই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন, তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। সিবিআই তদন্তে অনেকে আশা দেখেছিলেন। কিন্তু সেই আশা নিরাশাতে বদলে গিয়েছে।
শহর এবং গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর তাঁরা এই পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে পথে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এই ঘটনায় একজনকেই দায়ী করা হয়েছে। অপরাধী একজনই। সেই ধর্ষণ করে খুন করেছে। আর এই মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাহলে সিবিআই কী করল? এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও গ্রেফতার তারা করতে পারেনি। তদন্তেও নতুন কোনও বিষয় উঠে আসেনি। সুতরাং সিবিআই তদন্তে আস্থা রাখা যাচ্ছে না।’