আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। এই আবহে আজ, বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনস্থল আবার তপ্ত হয়ে উঠল। আর তার জেরে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে সরাতে দেখা যায় অনেককে। তাতেই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় ধর্মতলায়। মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় অনশনস্থলে ধরা পড়ল এমনই দৃশ্য।
আজ, মহাসপ্তমীর দিন অন্যান্য চিকিৎসকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা অনশনের জেরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন সাতজন অনশন চালাচ্ছেন। এই আবহে আজ বৃহস্পতিবার আবার ‘অভয়া পরিক্রমা’ শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তার এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। ধর্মতলা থেকে কলেজ স্ট্রিট এগোতেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারী ডাক্তারদের। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের দাবি, পুলিশ একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড করে দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তার কাজ কতদূর এগোলো?’ মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং অপর্ণা সেন। এখানে এসে অপর্ণা সেন চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। আর আজ মহাসপ্তমীতে দুর্গাপুজো পরিক্রমায় বেরনোর তোড়জোড় করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেললে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায়। আন্দোলনকারী ডাক্তাররা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দেন।
হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে আজ চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের বলা হয়েছে, ‘আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। তাও জোর করে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে সেটা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে। আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি, আপনাদের জন্য চিকিৎসক মোতায়েন করার জন্য। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’