আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে এবং অচলাবস্থা কাটাতে আজ, শনিবার আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। আজ স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক হয়। কিন্তু রফাসূত্র অধরা। তাই কর্মবিরতির পথেই হাঁটবেন চিকিৎসকরা।
এবার পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে সন্দীপ ঘোষের। এই পরীক্ষায় সম্মতি রয়েছে তাঁর। আর আজ, শনিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছেন সন্দীপবাবু। এটা নিয়ে নবমবার তিনি সিবিআই দফতরে গেলেন। আর আরজি কর হাসপাতালে আজ পৌঁছন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা। সেখানে রয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক। আরও অনেকে রয়েছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করছেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা বার বার আবেদন করেছেন, কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিতে। তাতে নারাজ জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি–দার্জিলিং বাস চালাচ্ছে এনবিএসটিসি, যাত্রী না হওয়ায় শুরু হয়েছে মাইকিং
গতকাল চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধিদল সিবিআই দফতরে যায়। সেখানে গিয়ে তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চান। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই কর্মবিরতিতেই অনড় ছিলেন তাঁরা। আজও স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। সেখানে জানানো হয়, তাঁদের বহু দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই এবার কাজে ফিরে আসতে। কারণ তা না হলে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকী মারা পর্যন্ত যাচ্ছেন। মানবিক দিক দেখার কথাও বলা হয় বৈঠকে। যদিও বৈঠক শেষে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া সিবিআই সূত্রে খবর, অন্য জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্সদের থেকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার আগেই জেনেছিল ওই তরুণী রাতে একা রয়েছেন। কিন্তু কারা এই খবর দিয়েছিল? খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে আন্দোলনকারীদের দাবি, কে খুনি, উদ্দেশ্য কী ছিল, আরও কারা জড়িত? এই সব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাঁদের বদলি করতে চেয়েছিলেন এই কাণ্ডের পর তাঁদের বদলি করা হয়েছিল। সেখানে টানা দু’সপ্তাহ কর্মবিরতি চলছে। এবার তা থামা দরকার বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা।