আজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীতে এল বড় খবর। নিরাপত্তা নিয়েই বারবার সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। তারপর থেকেই নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই দাবি–সহ আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েই চলছে কর্মবিরতি। এখন আবার ধর্মতলায় চলছে আমরণ অনশন। এই আবহে নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হল। তিনদিনের মধ্যে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এবার তা দেখা গেল।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। আর তাই এবার কলকাতা পুলিশকে দেখা গেল ইলেকট্রিক সাইকেল চেপে সরকারি হাসপাতালের ক্যাম্পাসে নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। তারপর আবার এমন উদ্যোগ রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা নিয়ে সদিচ্ছার সাক্ষ্য বহন করছে। সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার দাবিগুলি দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করার কাজ শেষের পথে। তার মধ্যেই আজ, বুধবার স্বাস্থ্যভবনে ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে রাজ্যে আসছেন জেপি নড্ডা, একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েই বঙ্গ সফর
এই কাজের মধ্যে দিয়েই অচলাবস্থা কাটাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এখনও ১০ দফা দাবি তুলেছেন ডাক্তাররা। সেগুলি নিয়েই আলোচনা চলছে। বিচার দেওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের। কারণ সেখানে মামলা চলছে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদা কোর্টে সিবিআই চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাতে মূল অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে সঞ্জয় রায়কেই। এখানে গণধর্ষণ যে হয়নি সে কথারও উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং কলকাতা পুলিশ যে সঠিক তদন্ত করছিল সেটা কার্যত পরিষ্কার। মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জনের বেশি চিকিৎসক গণইস্তফা দেন। তারপর আজ বুধবার কলকাতা পুলিশ ইলেকট্রিক সাইকেল চেপে ঘুরে দেখছেন।
এছাড়া রাত্তিরের সাথী প্রকল্পে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। আর ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভি বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী ওয়াশরুম গড়ে তোলার কাজ ৬৫ শতাংশ এগিয়ে গিয়েছে। আর আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেক্ষেত্রে আগামীকালই সেই তারিখ এসে যাচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকরাও এসবের মধ্যেই রয়েছেন। তবে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আবার প্যানিক বাটন করার কাজ শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে বলে সূত্রের খবর। এখন দেখার বিষয় কর্মবিরতি এবং অনশন ওঠে কিনা।