আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। তার সঙ্গে আজ, শনিবার যোগ হল নাগরিক সমাজের। আজ কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করল নাগরিক সমাজ। এই আবহে এবার সোমবার থেকে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আজ, শনিবার ধর্মতলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আংশিক কর্মরিরতি চলবে। এখন যা পরিস্থিতির তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানালেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
নাগরিক সমাজের এই মিছিলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তার মধ্যেই বেসরকারি চিকিৎসকদের এমন ঘোষণা চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এতে সরাসরি প্রভাব পড়বে রোগীদের উপর। ৪৮ ঘণ্টা এই আংশিক কর্মবিরতি চলবে। জরুরি বিভাগ ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সুতরাং সরকারি হাসপাতালে এখন চিকিৎসা মিলছে না বলে অভিযোগ। এবার বেসরকারি হাসপাতালেও পরিষেবা শিকেয় উঠবে। এই বিষয়ে বেসরকারি চিকিৎসকরা বলেন, ‘এই আন্দোলন এখন আর ডাক্তারদের আন্দোলন নয়, এটা জনগণের আন্দোলন। জনগণ চিকিৎসকদের পাশে আছেন। আমরা জনগণের কথা ভেবে জরুরি পরিষেবা চালু রাখছি। তাতে রোগীর অসুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জরুরি অবস্থা হলে বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন। চিকিৎসকেরা সাহায্য করবেন।’
আরও পড়ুন: উৎসবের মধ্যেই পথে নামল নাগরিক সমাজ, সিবিআই চার্জশিটের বিরুদ্ধে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান
সিবিআই শিয়ালদা আদালতে যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে সঞ্জয় রায়কেই মূল অপরাধী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ সঠিক পথেই তদন্ত করছিল প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আগেও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।এবার আরও জোরালো হয়েছে প্রতিবাদের স্বর। আজ ধর্মতলা থেকেই টানা দু’দিনের আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যাতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি হোটেলে গিয়ে কনফারেন্স হল বুক করতে যান বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তেতে ওঠেন চিকিৎসকরা।
দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেও ডাক্তাররা আন্দোলন করে চলেছেন। গণইস্তফা দিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সে বিষয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা কড়া বার্তা দিয়েছেন। যার ফলে এখন চাপে ডাক্তাররা। এবার ‘আংশিক কর্মবিরতি’ ঘোষণা করে পাল্টা চাপ তৈরি করতে চাইলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হোটেলের কনফারেন্স হল বুক করা যায়নি কারণ কলকাতা পুলিশ নিষেধ করেছিল বলে অভিযোগ করেন বেসরকারি চিকিৎসকরা। তারপরই এই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।