আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে আজ, সোমবার আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসছেন। কিন্তু রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। সুতরাং আকাশে উড়বে ঘুড়ি। চলবে কাটাকাটির খেলা। তবে এবার আকাশ দখল হতে চলেছে বিচারের দাবিতে। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের রাতে ত্রিবর্ণ পতাকার সঙ্গে বাংলার মানুষ উড়িয়েছিল প্রতিবাদের স্বর। এবার ঘুড়ি উড়িয়ে আকাশ দখল করে তোলা হবে স্লোগান—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছেছে। সেখানে আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর তার মধ্যেই কলকাতার আকাশে উড়বে ঘুড়ি। বেশ কয়েকবছর ধরে এই ঘুড়ি কলকাতার আকাশে দেখা যেত না। উত্তর কলকাতার কিছু এলাকায় আজও ঘুড়ি ওড়ানোর চল আছে। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতায় এক–আধটা ঘুড়ি উড়ত। এবার ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ বা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানকে সামনে রেখে আবার ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চায় গোটা মহানগরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দুই পক্ষেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক, স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হোক’, নম্র আবেদন নির্যাতিতার বাবা–মার
আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। এই আবহে এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী এবার শেষ চেষ্টা করছেন সেটা চিঠিতে লিখে পাঠিয়েছেন মু্খ্যসচিব। বৈঠক ফলপ্রসূ হবে কি হবে না সেটা পরের ব্যাপার। এখন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে আকাশ দখলের প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কল্লোলিনী কলকাতা দেখবে অন্য রূপ। নানারকমের ঘুড়ি অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে। আবার অনেকে নিজেরা ঘুড়ি কিনে তাতে লিখেছেন, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’, ‘বিচার পাক অভয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
এছাড়া এখন যে ঘুড়ি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি সব কালো রঙের। ওই কালো রঙের ঘুড়িতেই সাদা রঙ দিয়ে বিচারের দাবিগুলি লেখা রাখা হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক দোকান থেকে খবর মিলেছে, এমন ঘুড়ি বানিয়েছেন অনেকেই। যাতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়তি রোজগার হয়। একইসঙ্গে প্রতিবাদও জানানো হবে ঘুড়িতে স্লোগান লিখে। এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই যুবক–যুবতীরা ঘুড়ি কিনতে শুরু করেছে। যা রাত পোহালেই আকাশে দেখা যাবে। মুদিয়ালি এলাকার ঘুড়ির দোকানের মালিক পল্টু প্রামাণিক বলেন, ‘এই ঘুড়িগুলির দাম ১৫ টাকা রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজার পিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা ঘুড়ি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কাল আরও হবে।’