আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি হানা দিতে শুরু করেছে তাঁর বাড়িতে। আর এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার এই পরিস্থিতিতে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। রাজ্য সরকারের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তবে মানুষকেও সচেতন হতে বার্তা দিয়েছেন।
আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার পর একমাস কেটে গিয়েছে। জাস্টিস মেলেনি। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই ইস্যুকে ধরতে চাইছে। এমন আবহে মোহন ভাগবত বলেন, ‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মহিলাদের মাতৃশক্তি হিসেবে বন্দনা করেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ন হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে? নাগরিকদের অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করুন’, ইডিকে চিঠি লিখে দাবি বিজেপি সাংসদের
আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর সিবিআই তদন্তভার নেওয়ায় তাদের হাতে যায়। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত একজনই। এই ঘটনায় রাত দখল থেকে ভোর দখল সবই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দু’দিনের সফরে শনিবার কলকাতায় আসেন মোহন ভাগবত। বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের একটি অনুষ্ঠানে রবিবার তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যান। সেখানেই আরজি কর হাসপাতাল প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন।’
এখানেই শেষ নয়, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জন্য সুবিচার চাইলেন মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, ‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ পাল্টা মন্তব্য করেছেন। বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর চিঠি প্রসঙ্গে কুণাল বলেছেন, ‘বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। তাই এই সব সস্তা কথা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন। ওঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে ইডির কাছে গিয়ে জমা দিন।’