আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে সিবিআই। আর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের উপরে তদন্ত করা প্রয়োজন। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের উপরও কড়া দৃষ্টি রাখছে সিবিআই। আর তাই সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট করাতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু রাজি হননি খোদ সন্দীপ। আজ, শুক্রবার শিয়ালদা আদালত তাঁকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাই তাঁকে এখন হেফাজতে পাচ্ছে না সিবিআই। আর ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। যা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করল সিবিআই।
এদিকে সন্দীপ ঘোষের নার্কো পরীক্ষা এবং অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে শিয়ালদা আদালতে আবেদন করে সিবিআই। দু’জনেই তাতে রাজি হননি। তখন সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘আমরা আরও কিছু ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করতে চাই।’ পাল্টা অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর সওয়াল, ‘সিএফএসএল রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।’ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর জবাব, ‘আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।’
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের কথা ভাবছেন না?’ অনশন মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তুললেন সায়ন্তনীরা
অন্যদিকে সিবিআই দাবি করেছে, ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে একাধিক ফোনকল করা হয়েছিল। কয়েকজন সাক্ষীকে ফোন করেন তাঁরা। এই বিষয়গুলি এখন বেশি করে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তাই এই দুই অভিযুক্তকে আরও জেরা করতে চেয়ে তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করা হয়। এঁরা জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন এবং প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। তাই তাঁদের জেল হেফাজতে রেখে দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এছাড়া সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করা থেকে শুরু করে শবদেহ পাচারের অভিযোগও উঠেছিল সন্দীপের বিরুদ্ধে। এসবের তদন্ত করতে সন্দীপ ঘোষের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, টালা থানার ওসি অভিজিতের সঙ্গে মিলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটেও সন্দীপের ভূমিকা ছিল। সিবিআই আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, ‘সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।’