আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন। স্লোগান উঠছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার মধ্যে শহর থেকে জেলার নানা দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান ৮৫ হাজার টাকা ফেরাতে শুরু করেন। এবার এই আবহে বয়কট ট্রেন্ডে হাঁটল না তিনটি ক্লাব। বরং তারা সরকারি অনুদান পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এবার দুর্গাপুজোয় ৮৫ হাজার টাকা সরকারি অনুদান নেবে এই তিনটি ক্লাব। আজ শনিবার এই কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ।
এই বয়কট ট্রেন্ডে না হেঁটে দুর্গা ভাণ্ডার প্রকল্প নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করার জেরে এখন স্বস্তিতে শাসক শিবির। আর তাই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে ন্যায়বিচার আমরা সবাই চাই। এই আন্দোলন চললেও কলকাতা পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সেখানে সিবিআই এখনও কিছু করতে পারেনি। এটার সঙ্গে দুর্গাপুজোর অর্থনীতি মেশাবেন না। অসংগঠিত ক্ষেত্রে বহু পেশার বিষয় রয়েছে। সমাজের নানা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে এটা। তার সঙ্গে টাকা ফেরতের ঘটনা মেশাবেন না। দু’তিনজন বলেছে তাও।’
এই তিনটি নতুন ক্লাবের মধ্যে শহরের ক্লাবও আছে। যা এখনকার পরিস্থিতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাই কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘যাঁরা অনুদান পান তাঁদের মোট ক্লাবের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫০০। তার মধ্যে যারা নেব না বলেছে সেটা .০১% ও হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল নথিভুক্ত ক্লাবগুলিকেই দেওয়া হবে। কিন্তু ৩টি ক্লাব নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে এই তালিকায় ঢুকতে চায়। তাদের ইনক্লুড করতে হবে যাতে পুজো অনুদানের টাকা তারা পায়। এই ৩টি ক্লাব আগে পুজোর অনুদান নেয়নি। তারা হাইকোর্টে আবেদন করেছে। হাইকোর্ট বিবেচনা করে তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাখিরালয়ের নদীবাঁধে নামল ব্যাপক ধস, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা, মেরামতির কাজ সম্পন্ন
তাছাড়া এই তিনটি ক্লাব যারা দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান নেবে তারা হল—বাদল পল্লি মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি, বাঁশদ্রোণী কালিতলা পার্ক নাগরিক সেবা সমিতি এবং নিবেদিতা পার্ক অ্যাসোসিয়েশন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর হুগলি থেকে কলকাতা বেশ কয়েকটি ক্লাব সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়। সেখানে নতুন করে তিনটি ক্লাব এই অনুদান নিতে চায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তারা তা পেতে চলেছে। এটা নিয়ে কুণাল ঘোষের কথায়, ‘যাঁরা ফেরাতে চান তাঁদের পরের বছর তালিকায় রাখা হবে কিনা সেটা রাজ্য সরকারের পলিসি ডিসিশন। কিন্তু এটার সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলন মেলাবেন না।’