রাজ্যে কর্মবিরতি করে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সেটি এবার উৎসবের মরশুমে তুলে নেবেন কিনা তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এই আবহে সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন যে, সব সময় কর্মবিরতি করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই আবার ফেসবুকে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা কুণাল ঘোষ। এবার তাঁর ‘নজিরবিহীন’ আক্রমণ সিনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে। আবার আজ এই বিষয় নিয়ে একের পর এক এক্স হ্যান্ডেলে নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সুতরাং সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
এই কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা নানা আলোচনা করেছেন। তখন আসতে করে সরে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এটা নিয়েই কুণালের বক্তব্য, ‘এখন সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়রদের কর্মবিরতিতে যেতে নিষেধ করছেন। কারণ পুজোর সময় তাঁদের টিকিট কাটা রয়েছে দেশ–বিদেশে। তাঁরা বেড়াতে যাবেন। তাঁদের কাজ সামলাতে হবে জুনিয়রদের। সেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা যদি কর্মবিরতি চালান তাহলে সিনিয়র ডাক্তাররা বেড়াতে যেতে পারবেন না। এতদিন কেন সিনিয়রদের মনে হয়নি কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়?’
এই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি করতে সিপিএমের দু’জন নেতা, নকশাল সিনিয়র এখন জুনিয়রদের আমরণ অনশন করতে বোঝাচ্ছেন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দুই সিপিএম, নকশাল সিনিয়র এখন জুনিয়রদের বোঝাচ্ছেন আমরণ অনশন করতে। পুলিশ তুললে ছবিও হবে, কর্মসূচিও শেষ। সরকারকে আমার অনুরোধ, অনশন হলে নিরাপত্তায় পুলিশ থাকুক। কিন্তু অনশনে যেন সরকার হস্তক্ষেপ না করে। অনশন ওঁরা করলে করুন। কেউ অসুস্থ হলে জুনিয়র, সিনিয়ররা দেখবেন। তাঁরা বুঝবেন।’ আর নিজের ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘উস্কানিদাতা সিনিয়রদের পুজোয় দেশ–বিদেশের টিকিট কাটা। সামলাতে হবে জুনিয়রদের। নাহলে ‘বিশেষ’ সমস্যা।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ঘোষণা গিল্ডের
সাগরদত্ত হাসপাতালে চিকিসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিগ্রহের জেরে পূর্ণ কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার জেরে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কর্মবিরতি করেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে সেটা আমরা মনে করছি না। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা যে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তার হিসাবে পরামর্শ থাকবে এটা তাঁরা পুর্নমূল্যায়ন করুক।’ এরপরই কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আবার বলছি, ময়নাতদন্ত, দেওয়াল ভাঙার নথিতে মান্যতার সই করেও পরে বিভ্রান্তিতে মদত দেওয়া কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুক সিবিআই। কাদের স্বার্থে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার খেলায় থাকল এরা, হেফাজতে নিয়ে জেরা হোক। এদের নাম, ছবি দিয়ে প্রচার দরকার।’