আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে তর্পণ চলছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। আর একসপ্তাহ পর গোটা রাজ্য মেতে উঠবে শারদ উৎসবে। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তাররা নতুন করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন করে রোগীকল্যাণ সমিতি গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হল ৭ সদস্যের কমিটি। অভিযোগ জানানোর জন্য গ্রিভ্যান্স সেলও খোলা হল। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
এবার মহালয়ার দিন ওই জুনিয়র ডাক্তারদের জেরা করার আর্জি জানালেন কুণাল সিবিআইকে। এমনকী গ্রেফতার করারও নিদান দিলেন। যাঁরা ময়নাতদন্তের নথিতে এবং নির্মাণের নথিতে সই করেছিলেন। এখন তাঁরাই কর্মবিরতি করছেন এবং প্রতিবাদ করছেন। এই বিষয়টি তঞ্চকতা বলে মনে করেন কুণাল ঘোষ। তাই আজ, বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শাণিয়েছেন কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। যদিও জুনিয়র ডাক্তাররা এই পোস্ট নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
ইতিমধ্যেই সব সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসতে শুরু করেছে। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। স্বাস্থ্যভবন একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। তাঁরা তদন্ত করবেন ‘থ্রেট কালচার’ কারা করেন এবং যুক্ত কারা তা নিয়ে। ‘থ্রেট কালচার’ হাসপাতালে থাকা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেক্ষেত্রে জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করেছে। সুবিচারের আশায় কর্মবিরতি নাকি নেপথ্যে রাজনীতি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে নয়া উদ্যোগ, এবার হাওড়া থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস
কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে আসে জুনিয়র ডাক্তারদের সই করা নথি। সেই নথি ছিল ওই নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের এবং হাসপাতালের যে ঘর সংস্কার করা হচ্ছিল তার। তাতে বেশ বিপাকে পড়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সেই ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যে জুনিয়র ডাক্তাররা সই করেছিলেন ময়নাতদন্তের নথিতে এবং নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজে তাঁরা এখন নীরব হয়ে রয়েছেন। আবার তাঁরাই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। এঁদেরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত। কেন এই দু’রকম খেলা? কারা এর পিছনে আছে অবস্থান পরিবর্তনে? সিবিআইয়ের উচিত এঁদের গ্রেফতার করা।’