আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে মর্গ থেকে দেহ পাচার–সহ নানা অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আছে আরজি কর মামলার শুনানি। আর সেই শুনানিতে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে হবে বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের একাধিক বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। আর কোর্টকে তা জানানো দরকার।
সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রায় ২২ দিন লাগিয়ে দিল। তারপরও কোনও নতুন তথ্য বের করতে পারেনি। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাই সর্বোচ্চ আদালতে এই ধর্ষণ–খুনে একা সঞ্জয় জড়িত নাকি আরও অনেকে সেটা জানানো উচিত বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি আজ এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সঞ্জয় একাই ধর্ষক, খুনি, নাকি আরও কেউ ছিল?’ এটাই কুণাল ঘোষের প্রথম দাবি সিবিআইয়ের কাছে যে, তাঁরা যেন সুপ্রিম কোর্টে জানান।
এখানেই শেষ নয়, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সন্দীপের বাড়ি থেকে পোটলা বেঁধে নথি নিয়ে বেরিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ জমা পড়েছিল সেসব অভিযোগপত্রের আসল কপি মিলেছে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে। যে নথি থাকার কথা হাসপাতালে। তবে এই ধর্ষণ–খুনের নেপথ্য কারণ কী সেটাও সর্বোচ্চ আদালতে জানাতে সিবিআইয়ের উদ্দেশে দাবি জানান কুণাল ঘোষ। তাই তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন কুৎসিত ঘটনা নাকি চক্রের কাজ, অন্য কারণে?’
আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের লম্বা হাতই বরাত পাইয়ে দিত বিপ্লব–সুমনকে, আদালতে দাবি করল সিবিআই
এছাড়া সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর তারা কী কী অগ্রগতি করেছে সেটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলের কর্মীরা। কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করার পর সিবিআই কী কী করেছে, তাদের অগ্রগতি কী? এবার সেই সম্পর্কে মামলার শুনানির প্রাক্কালে এই প্রশ্নগুলিই আর একবার তুললেন কুণাল ঘোষ। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সিবিআই কাল কোর্টে স্পষ্ট বলুক: ১) কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সঞ্জয় একাই ধর্ষক, খুনি, নাকি আরও কেউ ছিল? ২) এটি বিচ্ছিন্ন কুৎসিত ঘটনা নাকি চক্রের কাজ, অন্য কারণে? ৩) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা থাকলে তার যথাযথ ইঙ্গিত কী কী? ৪) যারা লোপাটে যুক্ত বা যাদের দায়িত্বে পিওসি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী।’