আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি হানা দিতে শুরু করেছে তাঁর বাড়িতে। আর এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। তার প্রাক্কালেই মার্কিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করে বিচারের দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার পর একমাস কেটে গিয়েছে। জাস্টিস মেলেনি। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই ইস্যুকে ধরতে চাইছে। এমন আবহে সুখেন্দুশেখর রায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’। বিখ্যাত মার্কিন বিচারপতির কথাও উল্লেখ করেছেন। আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগে লাগাতার প্রশাসন থেকে শুরু করে দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এবার দিলেন নয়া পোস্ট।
আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর সিবিআই তদন্তভার নেওয়ায় তাদের হাতে যায়। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত একজনই। এই ঘটনায় রাত দখল থেকে ভোর দখল সবই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সকালে সুখেন্দুশেখর রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘মার্কিন ফেডারেল কোর্টে ৫২ বছর বিচারপতি হিসাবে কাজ করা এবং একই সঙ্গে মানবাধিকারের দাবিতে সরব হওয়া এক বিচারপতি বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে ন্যায়বিচারের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা যাবে না।’ আর সুখেন্দুর স্লোগান, ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’।
আরও পড়ুন: ‘ওবামা–কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করার খবর ভুল’, আমেরিকা সফরের আগে জবাব শিবকুমারের
এখানেই শেষ নয়, মেয়েদের রাত দখলের আগে প্রতিবাদ জানিয়ে রাত দখলে সামিল হওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে সিদ্ধান্ত বদল করে ১৪ তারিখ দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধরনায় বসেন সুখেন্দু। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা তুলে ধরেছিলেন। আর জহর সরকার ইস্তফা দেওয়ার পর সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল। দেড়শো কোটি মানুষের মধ্যে বিন্দুর মতো আমার অস্তিত্ব, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে।’