আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে আজ, সোমবার আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসছেন। রফাসূত্র আগের তিনটি বৈঠকে বের হয়নি। এবার হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তার মধ্যে নির্যাতিতার বাবা–মা মুখ খুললেন। এই বৈঠক থেকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসুক চান তাঁরা।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছেছে। সেখানে আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর তার মধ্যেই এই বৈঠক নিয়ে নির্যাতিতার মা–বাবার বক্তব্য, ‘শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হোক। সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্য়মে সমাধান সূত্র বের হোক এবার। সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের ভরসা আছে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হবে আশা করি।’ বিকেল ৫টা বেজে গিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা এখন পৌঁছে গিয়েছেন কালীঘাটে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের তিন পুরসভার নির্বাচন নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু, উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার
আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। এই আবহে এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী এবার শেষ চেষ্টা করছেন সেটা চিঠিতে লিখে পাঠিয়েছেন মু্খ্যসচিব বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, ‘দুই পক্ষেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে সেটা শেষ হোক। বাচ্চাগুলি আমার সন্তানের মতো। আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ওরা এত কষ্ট করছে, সত্যি আমাদেরও সেটা কষ্ট দিচ্ছে। কিছু একটা সমাধান বের হোক। স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনায় বসে মুখ্যমন্ত্রী সমাধান করে নিন। আমরা এটাই চাই।’
এছাড়া এখন জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে একটা ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটা অংশ চাইছেন, তিনটি দাবি মেনে নিলেই আলোচনা শুরু হতে পারে। আর একটা অংশ চাইছে মানতে হবে পাঁচটি দাবিই। না হলে এই বৈঠক হবে না। এখন কোনদিকে বিষয়টি যায় সেদিকে সকলে চোখ রেখেছেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ হবে না। হবে না ভিডিয়োগ্রাফিও। বদলে মিনিটস টু মিনিটস করে দেওয়া হবে। দুই পক্ষের সই থাকবে তাতে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অনিকেত মাহাতো জানান, আলোচনায় তাঁরা সবসময়ই আগ্রহী।