এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন আরজি কর হাসপাতালের তরুণী নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা–মা। আদালতের নির্দেশেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। চার মাস কেটে গেলেও মেয়ের ন্যায়বিচার মেলেনি। এই আবহে আরজি কর কাণ্ডের মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে গেল। তাই নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মা বলছেন, তাঁরা এতে হতাশ হয়েছেন। তবে লড়াই ছাড়ছেন না। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও সরব হন তাঁরা।
এদিকে টিভির পর্দায় শুনানি দেখেছেন তাঁরা। তার পর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। নিহত নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সিবিআইয়ের মতো একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা যে সর্বোচ্চ আদালতে দাঁড়িয়ে এভাবে মিথ্যে কথা বলবেন, সেটা দেখে চমকে উঠেছি। আদালতে সিবিআই বলেছে, ওরা নাকি সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু কোথায় যোগাযোগ?’ আর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ। সুপ্রিম কোর্ট মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দিয়েছে। এই শুনে নিহত চিকিৎসকের মায়ের বক্তব্য, ‘হতাশ হয়েছি। তবে আশা হারাইনি। আশা হারালে তো মেয়ের বিচারই পাব না। লড়াই চালিয়ে যাব আমরা।’
আরও পড়ুন: নবান্নে বসছে হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠক, সরকারি কর্মী–অফিসারদের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত
অন্যদিকে গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সেখানে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, ‘সিবিআই আমাদের বলেছিল যে চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে আমাদের জানাবে। কিন্তু তারা কিছু জানায়নি। এমনকী সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ওরা কবে জমা দেবে, সেটার বিষয়ে বারবার মেসেজ করে জানতে চাওয়া হলেও ওরা আমাদের কিছু জানায়নি।’
এছাড়া সিবিআইয়ের ভূমিকায় বাবা–মা হতাশ বলে জানালেন। তবে আদালতের প্রতি আস্থা এখনই হারাচ্ছেন না তাঁরা। নির্যাতিতা নিহত চিকিৎসকের মায়ের কথায়, ‘মেয়েকে কেন মারা হয়েছে, আজও সেটা জানতে পারলাম না। এটা না জেনে বেঁচে থাকার কোনও মানে হয় না। যারা দোষী তাদের কঠোরতম শাস্তি হোক। কিন্তু সেই জায়গায় তো আজও আমরা অন্ধকারে রয়েছি। বিচার না পেলে মেয়েটা শান্তি পাবে না।’ যদিও এখন আর রাজপথে স্লোগান ওঠে না, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’