আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে কলকাতার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এখন নানা মিছিল, ধরনা জারি আছে। সঙ্গে উঠেছে স্লোগান–উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আর এই আবহে ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর দ্রুত দাহের ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ বারবার করেছেন নির্যাতিতার বাবা–মা। তাঁদের দাবি, পুলিশ ঘিরে রেখেছিল বাড়ি। এমনকী সেই রাতে টালা থানাতেও উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৪০০ পুলিশ। সেই রাতের ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু।
এদিকে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি আছে। সেদিন সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে। নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু তথা চিকিৎসক জানান, ওই ঘটনার দিন তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তাই কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। তবে তাড়াহুড়ো একটা হয়েছিল। ওই রাতে টালা থানায় এফআইআর করার সময় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বিশেষ চিকিৎসক বন্ধু। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন থানায়। এক প্রতিবেশী এফআইআর লিখছিলেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের অনুমতি ছাড়া শহরে মিছিল–মিটিং নয়, কড়া সিদ্ধান্তের পথে লালবাজার
অন্যদিকে তখন টালা থানায় তিনজন যুবক হাজির হন বলে দাবি নির্যাতিতার বিশেষ চিকিৎসক বন্ধুর। তিনি বলেন, ‘ওই তিনজন ছেলে এসেছিলেন টালা থানায়। পুলিশকে বলেছিলেন, আরজি কর হাসপাতাল থেকে আসছি। এফআইআর আমরা দেখতে চাই। আমার বন্ধুরা ওই তিনজনকে আটকাই। আর এখন এফআইআর দেখানো যাবে না বলে তাদের জানিয়ে দিই। ওরা বলেছিল, আরজি কর হাসপাতাল থেকে সাহায্য করতে এসেছে। অনেক্ষণ বসেছিল টালা থানায়। আমরা চলে আসা পর্যন্ত তারা বসেছিল। এই বিষয়টি বিচারাধীন বলে এখন নাম বলতে চাইছি না।’ নির্যাতিতার বিশেষ চিকিৎসক বন্ধু টিভি নাইন বাংলাকে এমন কথাই বলেছেন।
আর এখন কলকাতার ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ধরনা চলছে। যা চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরদিন বিশ্বকর্মা পুজো। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। নির্যাতিতার ওই চিকিৎসক বন্ধু সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, ‘তখন কী ঘটছে সেটা দেখতে পারিনি। পরে ছবি দেখেছি। তবে ক্রাইম সিন ঘেরা ছিল না। পুলিশ ওখানে ছিল। আমি ভিতরে এক মিনিট চলে যাই। কিন্তু বাইরের মেডিক্যাল কলেজে কাজ করেছি। তাই এতটুকু বলতে পারি, একেবারে বাইরের লোক হাসপাতালে ঢুকে এটা ঘটাবে সেটা ভাবতে আশ্চর্য লাগছে।’