আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। সেখানে আজ, শনিবার অচলাবস্থা কাটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে দাঁড়িয়েই রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল।
স্বাস্থ্যভবনের সামনে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নেমে না আসে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। আর সমিতিতে থাকবে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ। আরজি কর হাসপাতাল–সহ সব কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ‘আমি আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না’, দিদি হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা দিলেন মমতা
আজ, শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ডাক্তারদের কাছে আবেদন জানাব, আমাকে একটু সময় দিন। যদি আপনাদের আমার উপর ভরসা থাকে। অনেক মানুষও মারা যাচ্ছে। দয়া করে কাজে যোগদান করুন। আমি আপনাদের উপর কোনও অবিচার করব না। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি। রোগীকল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। সব মেডিক্যাল কলেজে রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। আপনাদের বাকি যা দাবি আছে সেটা ভাবা হবে। আপনারা দয়া করে কাজে যোগদান করুন।’
পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘সিবিআইকে অনুরোধ করব, দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। দোষীদের ফাঁসি হোক। কেউ দোষী থাকলে আমি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। এটুকু বলতেই আমি এসেছি। আপনারা আমাদের ঘরের ভাই–বোন। আমি কোনও অবিচার হতে দেব না। সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে তৈরি করা হবে। এখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এখানে আসিনি। আপনাদের বড় দিদি হয়ে এসেছি। আমাকে সময় দিন। ভাল থাকুন।’