আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডঃ সঞ্জয় বশিষ্ঠকে অপসারণ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আপাতত সঞ্জয় বশিষ্ঠের স্থানে এই দায়িত্ব সামলাবেন ডঃ বুলবুল মুখোপাধ্যায়। তিনি হাসপাতালের ডিন। উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই আরজি করের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় হাসপাতালেরই চার তলার এক সেমিনার হলে। সেই ঘটনায় হাসপাতালে সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সেই মতো স্বাস্থ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নিল। (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ, নোট বাতিলের আতঙ্ক, ভারতের ১ লাখ বাংলাদেশে কত?)
আরও পড়ুন: 'যোগী স্টাইলে' ধর্ষকের এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল অভিষেকের, উলটো সুর ফিরহাদের গলায়
আরও পড়ুন: সংসদে ১০% সংরক্ষণ চাই, ঢাকা-চট্টগ্রাম অচল করলেন হিন্দুরা, কী বললেন ইউনুস?
এদিকে গত পরশুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একা সঞ্জয় রায়ই কি অপরাধী? নাকি ঘটনায় তার সাথে আরও কেউ জড়িত ছিল? চিকিৎসক, পড়ুয়া এবং রাজনীতিবিদদের একাংশ এই প্রশ্ন তুলছেন। উল্লেখ্য, ট্রেনি চিকিৎসককে একাধিক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রিপোর্ট থেকে। এই আবহে কীভাবে একবারও সেই তরুণী চিৎকার করলেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে অনেকেরই অনুমান, সঞ্জয়ের সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল। এই আবহে হয়ত কেউ একজন নির্যাতিতার মুখ চেপে ধরে রেখেছিল। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীর বিরুদ্ধে স্বভাবত যতটা প্রতিরোধ দেখানোর কথা ছিল, তরুণী তা দেখাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে দু'টো সম্ভাবনার কথা সামনে আসছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত, এবং সেই অন্য কেউ তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। অপরদিকে পুলিশ আপাতত অনুমান করছে, আগেই তরুণীকে খুন করা হয়, তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই সবের মাঝে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন। (আরও পড়ুন: 'সেন্ট মার্টিন না দেওয়ায় USA…', বাংলাদেশ ত্যাগের পর এই প্রথম মুখ খুললেন হাসিনা)
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া দাবি সামনে আসতেই '৩ জুনের শেয়ার বাজার জালিয়াতি' নিয়ে সরব TMC
আরও পড়ুন: 'শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরব', দিল্লির অজ্ঞাতবাস থেকে বার্তা শেখ হাসিনার
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরজি করের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে। তদন্তকারীরা জানান, যখন সঞ্জয় হামলা চালায়, তখন সেই চিকিৎসক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। টানা ডিউটির জেরেই তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত ছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, আক্রমণের সময় ওই মহিলার নিজেকে বাঁচাতে যতটা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক ততটা করতে পারেননি। এই নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর পর সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এদিকে আরও একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ ভাবনায় পড়েছে। হামলার সময় কি একবারও চিৎকার করতে পারেননি সেই নির্যাতিতা? যদি প্রথমে খুনের চেষ্টাও হয়ে থাকে, তাহলেও তো প্রতিরোধ করার বা সাহায্য চাওয়ার জন্যে চিৎকার করা স্বাভাবি। এদিকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নাকি নির্যাতিতার মা-বাবাকে বলেছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশ কীভাবে এবং কেন আত্মহত্যার দাবি করল প্রাথমিক ভাবে?