চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের চাপের মুখে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। যার পরে তাঁর স্থানে আনা হয়েছে সুহৃতা পালকে। এই সুহৃতার বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এর আগে স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি পদে ছিলেন তিনি। এর আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেও দায়িত্ব সামলেছিলেন সুহৃতা পাল। তবে সেই সময় তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন রাজ্যপাল। এহেন সুহৃতা পালকে আরজি করে আনা হয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা। (আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় এবার ১৫ ইনফ্লুয়েন্সারকে তলব লালবাজারে)
আরও পড়ুন: 'স'-তে আটকে কাঁটা, আরজি কর কাণ্ডে তির এবার 'ভিতরের ৪ জনের' দিকে, নাম ঘিরে তরজা
এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অমিত মালব্য লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দীপ ঘোষের জায়গায় আরজি করের প্রিন্সিপাল করেছেন সুহৃতা পালকে। যিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি। তদন্তকে প্রভাবিত করার এটা আরেকটা রাস্তা। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ মুছে ফেলতে এই পদক্ষেপ। এর আগে সুহৃতা পালকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেন বাংলার রাজ্যপাল। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠে। সরকার কি নির্যাতিতার পরিবারকে কোনওরকম বিচার না দিতেই এটা করছেন?’ অমিত মালব্য নিজের পোস্টে আরো দাবি করেন, 'তাঁর নোংরা অতীতের জেরে পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ফর ডক্টরস স্বাস্থ্য সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যাতে সুহৃতা পালকে কোনও প্রশাসনিক পদে না বসানো হয়।'
আরও পড়ুন: ৭ চিকিৎসককে জেরা, পরীক্ষায় গেল ধৃতের DNA নমুনা, আজ তলব আরজি করের সহকারী সুপারকে
প্রসঙ্গত, গতকাল চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দীপ ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার হয়েছে। নির্যাতিতা (নাম নেন সন্দীপ ঘোষ) একা ছিল কেন, নির্যাতিতা (ফের নাম নেন সন্দীপ ঘোষ) আত্মঘাতী হয়েছেন, এগুলো আমি কখনই বলিনি। আমার নামে মিথ্যা রটেছে। ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব। আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম।'
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, 'রাতে একা একা সেমিনার হলে থাকা উচিত হয়নি' নির্যাতিতা ট্রেনি চিকিৎসককে নিয়ে নাকি এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বহু পড়ুয়া এবং চিকিৎসক তাই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এছাড়াও এই গোটা ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বললেন, 'আর অপমানিত হতে পারছি না।' তিনি আরও বলেন, 'কেউ বাধ্য করেননি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।'