আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবার আবারও রাত দখল করবেন মেয়েরা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৪ অগস্ট রাতে রিমঝিম সিনহার ডাকে মেয়েরা রাজপথে নেমেছিলেন। আবার তাঁর ডাকেই রাত দখল করতে নামবেন মেয়েরা। তবে এবার অবশ্য সংস্কৃতি জগতের মানুষদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবার একই ধাঁচের আন্দোলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ শুভঙ্কর হালদার। নবান্ন অভিযানে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁরা এখন জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। এই আবহে আগামী সোমবার ভোর ৪টে থেকে শিলিগুড়ির হাসমিচকে ‘ভোর দখলে’র ডাক দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন টেবিল টেনিস তারকা মান্তু ঘোষরা। সুতরাং ঘুম ভাঙবে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে। এই কর্মসূচির কথা জানতে পেরে শিলিগুড়ির পুলিশ আগাম ব্যবস্থা নিতে চলেছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘দুর্গাপুজোর আগেই আমরা দ্বিতীয় অভিযানে নামব’, বড় কর্মসূচির ইঙ্গিত ছাত্র সমাজের নেতার
এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। অগস্ট মাসের পর সেপ্টেম্বর মাসেও অভিযানে হবে। এখন সামনে দুর্গাপুজো। তার প্রাক্কালে একের পর এক অভিযান হলে সমস্যায় পড়বেন সর্বস্তরের মানুষজন। আজ, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে রিমঝিমরা জানান, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সকলে পথে নামা হবে আবার। আর এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর’। গানের দল, নাচের দল, সাংস্কৃতিক জগতের নানা ব্যক্তিত্বকে এই কর্মসূচিতে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমঝিম সাংবাদিক বৈঠকে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির কথা উল্লেখ করেন। শাসকের ঘুম ভাঙানোর উদাহরণ হিসেবে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গত ১৪ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়। ভাঙচুরে নষ্ট হয় সম্পত্তি। আর এই কাজ বিজেপি এবং সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই করেছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরও আন্দোলন জারি রয়েছে রাজপথে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালে ঘটা ঘটনার মামলার শুনানি রয়েছে। ঠিক তার আগের রাতে পথে নামবেন রিমঝিমরা। রিমঝিমরা এবারও আশাবাদী, তাঁদের ডাকে আবার বাংলাজুড়ে আওয়াজ উঠবে। সাধারণ নাগরিক পা মেলাবেন এবং গলা ফাটাবেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে।