আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে একটি ফেসবুক পোস্ট তোলপাড় করে দিয়েছে উৎসবের মরশুমকে। কারণ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের সহকর্মীর নির্মম মৃত্যুকে সামনে রেখে মানুষের কাছে সমর্থন আহ্বান করলেন। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনও করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সব দাবি মেনে নেওয়া সেসব উঠে গিয়েছে। কিন্তু কালীপুজোর দিন কিঞ্জল নন্দের ফেসবুক পোস্ট নিঃসন্দেহে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ, বৃহস্পতিবার কিঞ্জল নন্দের ফেসবুক পোস্টে ‘অভয়ার ন্যায়বিচার’ নিয়ে নানা কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে মানুষের কাছে কিছু আবেদন করা হয়েছে। আলোর উৎসবের মধ্যেও নিহত তরুণী চিকিৎসককে না ভোলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথমেই লেখা হয়েছে, ‘এই দীপাবলিতে আপনি রঙ্গোলি বানান বা আলো সাজিয়ে বিচার চেয়ে ছবি তুলুন এবং ছড়িয়ে দিন সামাজিক মাধ্যমে।’ সোশ্যাল মিডিয়া এসব ছড়িয়ে দিতে আহ্বান করা হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। যার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি আবেদনও করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ উৎসবে মেতে উঠলেও এই বার্তায় কতটা সাড়া দেন সেটাও দেখার বিষয়।
যে চারটি বিষয়কে ফেসবুক পোস্টে কিঞ্জল নন্দ তুলে ধরেছেন তা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে সর্বত্র। এক, জাস্টিস থিমের রঙ্গোলি, দুই, প্রদীপ জ্বালানো তিন, দু’মিনিটের নীরবতা এবং চার, অভয়া ফানুস। এই বিষয়গুলির ব্যাখ্যাও করা হয়েছে ফেসবুক পোস্টে। যাতে মানুষ তাতে যুক্ত হন। আর নির্যাতিতার স্মরণে এই কাজগুলি করেন। অন্যান্য দাবি মিটে গেলেও ন্যায়বিচার এখনও মেলেনি বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। আর এই ন্যায়বিচারের বিষয়টি দু’পক্ষের হাতে রয়েছে। এক, সিবিআই। দুই, সুপ্রিম কোর্ট। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও বিষয় নেই। রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের মেনে নেওয়া দাবি অনুযায়ী কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেদার ফাটছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
একদিন আগেই মশাল জ্বালিয়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা সিবিআই দফতরে অভিযান করেন। আর তারপর আজ কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবকে সামনে রেখে ফেসবুক পোস্ট করলেন। কিঞ্জল নন্দের পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ন্যায়বিচারের অগ্রগতির জন্য জাস্টিস থিমের রঙ্গোলি তৈরি করুন। যেখানে সৃজনশীলতা এবং বিপ্লবী মন তৈরি হয়। এই অন্ধকার সময়ে আমাদের একত্রিত করতে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। সময় রাত ৯টা থেকে ৯টা ১৫ মিনিট। সমস্ত প্রতিবাদী হৃদয় ও মনকে একত্রিত করতে ২ মিনিটের নীরবতা অনুসরণ করুন। আমাদের ন্যায়বিচারের জন্য চলমান লড়াইয়ের প্রতীক হিসাবে তার কাছে পৌঁছনোর জন্য অভয়া ফানুস।’