আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে। দেখানো হবে মৃত মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করলেন একজন চিকিৎসক। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। তাঁদের যে যে দাবি ছিল, সেগুলির কয়েকটি মেনে নিতে রাজি হয়েছেন পুলিশ কমিশনার। সেইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও পুলিশের তরফে সেই বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার পরে পুলিশ কমিশনার সেরকম কিছু বলেননি।
পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা বিক্ষোভকারীদের
ওই চিকিৎসক বলেছেন, ‘কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। উনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আমাদের কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়া হবে, যে দাবিগুলি আমরা কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন এবং তদন্তকারী দলের সামনে রেখেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘(আমরা দাবি করেছিলাম যে) আমাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখানো হোক। দেখানো হোক সিসিটিভি ফুটেজ। যা প্রমাণ আছে, সেগুলি নিদেনপক্ষে আমাদের কয়েকজনকে দেখানো হোক, যাতে আমি জানতে পারি যে স্বচ্ছভাবে তদন্ত চলছে, আর কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়নি।’
'সব দাবিপূরণ না হলে আন্দোলন চলবে'
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওঁরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আমাদের কয়েকজনকে তথ্যপ্রমাণ দেখানো হবে। ওঁরা আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখাবেন। আপাতত আমরা কিছু আশ্বাসবাণী পেয়েছি।’ তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে যতদিন না তাঁদের সব দাবিপূরণ করা হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন উঠবে না। চলবে কর্মবিরতি।
আন্দোলনকারীরা কোন কোন দাবি তুলেছে?
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ২২ বছরের মহিলা চিকিৎসদের দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে যে ২২ বছরের তরুণীকে ধর্ষণও করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, যেভাবে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে একজনের পক্ষে ওরকম নৃশংসতা চালানো সম্ভব নয়। কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সেইসঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্ত-সহ চার দফা দাবি তোলেন।
১) বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ-সহ গ্রেফতার করতে হবে দোষীদের। আন্দোলনকারীদের দেখাতে হবে সিসিটিভি ফুটেজ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ।
২) ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে উচ্চপদস্থ কর্তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। দিতে হবে ইস্তফা।
৩) কতটা এগিয়েছে তদন্ত, তা নিয়ে রোজ আপডেট দিতে হবে।
৪) মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।