এ যেন চোর পুলিশ খেলা! হাসপাতালের অধ্যক্ষ দ্রুতগতিতে হেঁটে চলেছেন। কখনও কখনও দৌড়াচ্ছেন। আর তাঁর পিছনে স্লোগান দিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এমনই বেনজির ঘটনা দেখল কলকাতা শহরে আর জি কর হাসাপাতালে আসা মানুষজন। আসলে ডাক্তারির ছাত্ররা আন্দোলন করছেন। আর তা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেই এই দৌড়। এমনকী পড়ুয়ার মুখোমুখি না হতে চেয়েই রাজা বীরেন্দ্র স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষ। পড়ুয়ারাও সেখানে যান। তখন অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ড। শনিবার রাতে এই নাটকীয় ঘটনা ঘটে আরজি কর হাসপাতালে। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে রাত থেকেই অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ডাক্তারি পড়ুয়ারা আন্দোলন করছেন। এমনকী অধ্যক্ষকে একবার সারারাত ঘেরাও করে রেখেছিলেন। অভিযোগ, শনিবার আন্দোলন চলাকালীন অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একদিকে পরিকাঠামো নেই অন্যদিকে তা বলা হলে দুর্ব্যবহার সহ্য করতে রাজি নন পড়ুয়ারা। তাই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্ত্বরে।
শনিবার রাতে যখন হাসপাতালে ছিলেন অধ্যক্ষ তখনই শুরু হয় আন্দোলন। তখন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এই পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে চান। তখনই পিছু নেওয়া হয় অধ্যক্ষের। বিষয়টি বুঝতে পেরে এ গলি ও গলি দিয়ে গিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পড়ুয়ারা সংখ্যায় বেশি থাকায় সব গলিতেই তাঁরা পৌঁছে যান। তখন পুলিশের গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন। সেই সময় ওঠে স্লোগান।
উল্লেখ্য, ১২ দফা দাবি নিয়ে পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু সেই দাবিগুলি অধ্যক্ষ শুনতে নারাজ বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। হস্টেল সমস্যার বিষয় থেকে চিকিৎসক পড়ুয়াদের হেপাটাইটিস–বি টিকাকরণ না হওয়া এবং কলেজ চত্বরে ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আন্দোলন চলছে। আর তার সমাধান না হওয়ায় অধ্যক্ষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।