আজ, বৃহস্পতিবার হঠাৎ আরজি কর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের হট এয়ার ওভেনে। তখন তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল দফতরে। যদিও ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই সকলের চেষ্টায় আগুন নিভে গিয়েছে। এই আগুন নেভাতে সাহায্য করেন সিআইএসএফ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। আজ দুপুরে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখা যায়। তখনই আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসে।
এদিকে দমকল বাহিনীর দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কেমন করে আগুন লাগল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন দমকল দফতরের কর্মীরা। এখানের পড়ুয়া চিকিৎসকরা এই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখনও সেখানে কেউ সাহস করে ঘেঁষছেন না। তবে ওই জায়গাটি অত্যন্ত গরম হয়ে রয়েছে। তেতে থাকায় ঠাণ্ডা জল দেওয়া হচ্ছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ এই আরজি কর হাসপাতালেই তরুণী চিকিৎসক কে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। তাই কোনও ঝুঁকি রাখতে চাইছেন না কেউ।
আরও পড়ুন: ঘাটালে বন্ধ সজলধারা প্রকল্প! পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটে গ্রামবাসীরা, কী ঘটল সেখানে?
অন্যদিকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেই কেঁপে ওঠেন অনেকে। ওই বিভাগে পরীক্ষা–নিরীক্ষার কাজ হয়। তাই জন্য একটি ওভেন ব্যবহার করা হয়। তাতে আগুন লেগে যাওয়ায় বিপত্তি চরমে উঠেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ ঘটায় ওখানে বিস্ফোরণ ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার জেরে আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুন লাগার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আগুন নিভে যাওয়া সত্ত্বেও একঘণ্টা আরজি কর হাসপাতালে রাখা রয়েছে দমকলের ইঞ্জিন। যাতে আর কিছু হলেই ঝাঁপিয়ে পড়া যায়।
এছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরে কলকাতার নানা প্রান্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কালিকাপুরে বাইপাসের ধারের একটি বস্তিতে আগুন লেগে যায়। দমকলের প্রচেষ্টায় সেই আগুন নেভানো গিয়েছিল। উল্টোডাঙার বস্তিতেও আগুন লেগেছিল। অ্যাক্রোপলিস মলেও আগুল লাগে। নিমতলা এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রবিবার হাওড়া ফুলের বাজারে দোকানে আগুন লেগে যায়। নভেম্বর মাসের শেষ ১৫ দিনে কলকাতা পুলিশ এলাকায় ২৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আবার চর্চায় আরজি কর হাসপাতাল।