আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতদের মালা পরিয়ে বরণ করলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। এমনই দাবি করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে সরব হয়েছিল বাম-সহ বিরোধী দলগুলি। নিন্দা করেছিল পুলিশ এবং প্রশাসনের। অভিযোগ করেচিল যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য সেই কাজটা করেছিল পুলিশ। তুমুল হইচই করেছিল বামেরা। অথচ এখন মীনাক্ষীরা আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতদের মালা পরিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন বলে দাবি করেন কল্যাণ।
‘ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করছে’, তোপ কল্যাণের
‘প্রমাণ’ হিসেবে কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেন কল্যাণ। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৪-১৫ অগস্টের রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ওঁদের গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। শিয়ালদা আদালতে জামিন পাওয়ার জন্য তাঁদের স্বাগত জানান সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁদের ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন (ডিআইওয়াইয়ের কর্মী-সমর্থকরা)। ওই দলে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে একজনকে ঘটনার সময় ক্যামেরায় দেখা গিয়েছিল।’
একসঙ্গে ৮৮ জনের জামিন দিয়েছে আদালত
বিষয়টি নিয়ে আপাতত ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় সোমবারই একলপ্তে ৮৮ জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে শিয়ালদা আদালত। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী দেবাঙ্ক দাস দাবি করেন, তাঁর মক্কেলরা এমন কোনও কাজ করেননি, যা আইনবিরুদ্ধ। প্রথম ‘রাত দখল’-র (১৪ অগস্ট) রাতে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলেন।
১৪ অগস্ট রাতে তাণ্ডব চলেছিল আরজি করে
আসলে আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’-র ডাক দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘রাত দখল’ করেন মহিলারা। তারইমধ্যে মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরে আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল এবং হাসপাতালে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। শুধু ভাঙচুর হয়েছে বললে একেবারেই কম বলা হবে।
অভিযোগ উঠেছিল যে সেইসময় দুষ্কৃতীদের না রুখে লুকোতে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। কেউ বাথরুমে লুকিয়ে পড়েছিলেন। কেউ আবার রোগীর কম্বলের তলায় ঢুকে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর অনেককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশকে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ভর্ৎসিত হয়েছে আদালতেও।