সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছিল বৃন্দা গ্রোভারের কাছ থেকে। এরপরই নাকি তিনি এবং তাঁর দল এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনই দাবি করা হল টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর নিয়ে যে শুনানি হয়, সেখানে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সিবিআইয়ের হয়ে দাবি করেছিলেন, তদন্তের গতিবিধি নিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সলিসিটর জেনারেলের সেই দাবির বিরোধিতা করেননি নির্যাতিতার হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। এই নিয়েই নাকি বৃন্দার কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই নিয়ে দুই পক্ষের কথাবার্তার পরে বৃন্দা এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। (আরও পড়ুন: 'জানোয়ারের মতো...', বিস্ফোরক অভিযোগ অতুলের স্ত্রীর! শেষ জবাবে সুভাষ বলেন...)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের এর উপদেষ্টাই 'র এজেন্ট'! মুখ খুললেন ইউনুসের সরকারে থাকা ছাত্র নেতা
এর আগে আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে সিবিআই মিথ্যে বলেছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সিবিআই মোটেও তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে না। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে যখন সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সিবিআই যোগাযোগ রেখে চলেছে, তখন তা নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি নির্যাতিতা চিকিৎসকের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। অসন্তোষ প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে। সঙ্গে বৃন্দার ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কব্জি কাটার হুমকি ত্বহা সিদ্দিকির গলায়, পাকিস্তান নিয়ে পীরজাদা বললেন…)
নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে না সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে যে এরকমভাবে মিথ্যে বলা যায়, তা তাঁরা জানতেন না। সিবিআই আশ্বাস দিয়েছিল যে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশের সময় তাঁদের জানানো হবে। সেটা করা হয়নি। তাঁদের না জানিয়েই আরজি কর মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কবে পেশ করবে সিবিআই, সে বিষয়েও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা। (আরও পড়ুন: '১৫ মিনিট...', 'কলকাতা দখলের' পালটা বাংলাদেশ দখলের হুমকি TMC-র মুসলিম নেতার!)
এদিকে আরজি কর মামলা ছাড়ার বিষয়ে বৃন্দা গ্রোভারের চেম্বারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিগত তিন মাসে যাবতীয় নিয়ম মেনেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়েছে।' বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জামিনের বার বার বিরোধিতা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে একেবারে বিনামূল্যে তাঁরা আইনি সহায়তা দিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারকে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ও শিয়ালদা কোর্টেও নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়ছিলেন বৃন্দা গ্রোভার। তবে তিনি যে আর এই মামলায় লড়বেন না, সব সব আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃন্দার চেম্বারের তরফ থেকে।