রোগী পরিষেবা কোনওভাবে বিঘ্নিত করা যাবে না। ইন্টার্নদের মূল উদ্দেশ্য জীবনরক্ষা। তারইমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালানো যেতে পারে। তবে মাইকিং করা যাবে না। আর জি কর মেডিকেল এবং হাসপাতালের মামলা নিয়ে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মতো আজ থেকে ফের কাজে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইন্টার্নরা।
কিন্তু হাইকোর্টের তরফে যে অনশন প্রত্যাহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আন্দোনকারীরা জানিয়েছেন, অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে অনশন শুরু হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজে যোগ দেওয়া হলেও সেই দাবি থেকে মোটেও সরে আসছেন না। তাই সেই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন ইন্টার্নরা। তারইমধ্যে ইন্টার্নদের আর্জি মেনে সোমবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেই মতো আগামী ২৯ অক্টোবর শুক্রবার আন্দোলনরত ইন্টার্ন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
গত তিন সপ্তাহ ধরে আর জি করে যে অচলাবস্থা নিয়ে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সোমবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, যতজন রোগী ভরতি করা হয়েছে, তার থেকে বেশি রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই পরিসংখ্যান কি আন্দোলনরত ইন্টার্নদের পক্ষে ভালো? চাপে থাকলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া কি উচিত?
প্রত্যুত্তরে আন্দোলনকারীদের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে পুরো অচলাবস্থার জন্য শুধুমাত্র তাঁরা দায়ী নন। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সরকারের তরফে কোনও হেলদোল নেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানায়, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আপত্তি নেই। কিন্তু জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টার্নদের যে ভূমিকা আছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত ইন্টার্নদের অনশন তুলে নিতে বলা হয়। যদিও আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা অনশন চালিয়ে যেতে চান। তবে কাজে যোগ দেবেন। আগামী ২ নভেম্বর ফের সেই মামলার শুনানি হবে।