গুন্ডারাজ চালানোর অভিযোগে বহিষ্কৃত হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ১০ জন চিকিৎসক। হস্টেল খালি করার জন্য ৭২ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে স্পেশাল কলেজ কাউন্সিল। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ার জন্যও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। আর বাকি যে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গুন্ডারাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নামের তালিকা পাঠানো হচ্ছে আরজি করের অভ্যন্তরীণ কমিটি এবং অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে। যে ৫৯ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন চালানো, যৌন নির্যাতন চালানো, ড্রাগ কেনা, মদ কেনা, ছেলেদের হস্টেলে অশ্লীল কাজ করতে বাধ্য করার মতো সব অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হল ৫৯ অভিযুক্তকে
ওই ৫৯ জনের বিরুদ্ধেই প্রাথমিকভাবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন দফার শুনানি হয়। তাতে যে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, সেটার ভিত্তিতে ৫৯ জনকে মোট চারটি বিভাগে বিভক্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম ক্যাটেগরিতে ১০ জন, দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে ২৭ জন, তৃতীয় ক্যাটেগরিতে ১৬ জন এবং চতুর্থ ক্যাটেগরিতে ছ'জনের নাম আছে।
কাদের কাদের বহিষ্কার করা হয়েছে?
১) সৌরভ পাল (সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার)।
২) আশিস পান্ডে (হাউজস্টাফ) (গ্রেফতার করেছে সিবিআই)।
৩) অভিষেক সেন (হাউজস্টাফ)।
৪) আয়ুশ্রী থাপা (হাউজস্টাফ)।
৫) নির্জন বাগচী (ইন্টার্ন)।
৬) সরিফ হাসান (ইন্টার্ন)।
৭) নীলাগ্নি দেবনাথ (ইন্টার্ন)।
৮) অমরেন্দ্র সিং।
৯) সৎপাল সিং।
১০) তনভির আহমেদ কাজী।
দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে কারা আছেন?
দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে যে ২৭ জনের নাম আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপরে যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ব়্যাগিংয়েরও। ওই ক্যাাটেগরিতে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের এক বছর কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে হাউসস্টাফশিপ।
অন্যান্য ক্যাটেগরিতে কারা আছেন?
তৃতীয় ক্যাটেগরিতে যে ১৬ জনের নাম আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সহপাঠীদেরই যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য ইন্টার্নদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ছ'মাস হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হবে না। চতুর্থ ক্যাটেগরিতে যে ছ'জন আছেন, তাঁদের ‘ওয়ার্নিং’ দেওয়া হয়েছে। ডেকে পাঠানো হবে অভিভাবককে।