আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা এর আগে দাবি করেছিলেন, জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছিল সঞ্জয় রায়। তবে আদালতে অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সঞ্জয় দাবি করেছে, পুলিশ অফিসাররা তাকে মারধর করে জোর করে 'কথা' বলিয়েছিল। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল? পরে তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে যাওয়ার পরও কি ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়েছিল? রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতে বয়ান দেওয়ার সময় কলকাতা পুলিশ, সিবিআইয়ের কোনও অফিসারই পুনর্নির্মাণের কথা উল্লেখ করেননি। সেই সংক্রান্ত কোনও দাবি করেননি। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, এত বড় একটি ঘটনার পুনর্নির্মাণ করালেন না তদন্তকারীরা? (আরও পড়ুন: আরজি করের বেঞ্চে শুয়ে ছিল 'রহস্যময়', ২ রাত আগেও নির্যাতিতার কাছে যায় এক মত্ত)
আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ার হার বেড়েছে IT সেক্টরে, কত ফ্রেশার নিয়োগের পরিকল্পনা সংস্থাগুলির?
উল্লেখ্য, ১০ অগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পরে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত সঞ্জয় রায় লালবাজারের হেফাজতে ছিল। তার পরে সিবিআই তাকে হেফাজতে নেয়। সেই সময় পুলিশের তদন্তকারী অফিসার রুপালি মুখোপাধ্যায় একাধিকবার ঘটনাস্থলে যান। তবে সেই সময় এই হত্যাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করানো হয়েছে বলে জানা যায়নি। এদিকে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের আঙুলের ছাপও নাকি সংগ্রহণ করেননি তিনি। আদালতে সেই কথা স্বীকার করে নেন তিনি। এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেনে সিবিআই সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, ১৪ অগস্টের পরে ঘটনাস্থলেই যাননি সিবিআই তদন্তকারী দলের মাথায় থাকা সীমা পাহুজা। এদিকে আদালতে নাকি অভিযুক্তের আইনজীবী এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সীমাকে। তখন বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। (আরও পড়ুন: রুশ তেলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে ভারতে? জবাব দিলেন ইন্ডিয়ান অয়েল প্রধান)
আরও পড়ুন: জাহাজে করে শহরে এল মেট্রোর নতুন দু'টি ডালিয়ান রেক, আছে কী কী ফিচার?
এদিকে ১৪ অগস্টে আরজি করে দুষ্কৃতীদের হামলার পর থেকে শুরু হয়েছিল 'প্রমাণ নষ্টের' চেষ্টার অভিযোগ। এরই মাঝে জল্পনা রয়েছে 'ঘটনাস্থল' নিয়েও। যদিও সিবিআই বলছে, সেমিনার রুমেই ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে কীভাবে এই ধর্ষণ ও খুন ঘটেছিল, তা জানতে কেন ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়নি? এই প্রশ্ন অনেকের মনে উঠলেও অভিযুক্তের আইনজীবী অবশ্য এই নিয়ে আদালতে প্রশ্ন করেননি। এদিকে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে বীর্য না পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ক্ষেত্রে সঞ্জয় কন্ডোম ব্যবহার করে থাকতে পারে। যদিও রায়ে এই নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। এদিকে যদি দেহের বাইরেও বীর্য নিঃসরণ হয়ে থাকত, তাহলেও চাদর বা পোশকে তার অস্তিত্ব মিলত। তদন্তকারীরা তেমন কোনও দাবি করেননি। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে ভোঁতা কোনও বস্তু দিয়ে তরুণী চিকিৎসকের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়ে থাকতে পারে। সিএফএসএল রিপোর্টেও তেমন সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছিল। এই আবহে সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হলেও তদন্ত নিয়ে ৫৪টি প্রশ্ন নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্যাতিতার মা-বাবা।