আরজি কর কাণ্ডের আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন জারি আছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হওয়ার কথা ডাক্তারদের। তবে তাও অনশন ধর্মঘট চলছে। আজকের বৈঠক সদর্থক না হলে মঙ্গলবার থেকে সার্বিক ভাবে চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডাকতে পারেন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। এই আবহে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের 'মাওবাদী' আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দেবাংশ ভট্টাচার্য। আর তার জবাবে জুনিয়র ডাক্তাররা বললেন, 'আকাশের দিকে তাকিয়ে থুতু ফেলছেন তিনি।' (আরও পড়ুন: 'FIR হোক দেবাশিস-অনিকেতের নামে', হুঁশিয়ারি কুণালের, পালটা জবাব কিঞ্জলের)
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, শীঘ্রই পালটে যাবে আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টিতে ডুববে কলকাতাও
আরও পড়ুন: ফোন থেকে কী মোছেন সন্দীপ-অভিজিৎ? এখন সেই তথ্যই ঘোড়াতে পারে তদন্তের মোড়
দেবাংশুর আক্রমণের জবাবে জুনিয়র ডাক্তাররা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'সাধারণ মানুষ জানে, আজকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী অবস্থা। হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা প্রচুর। যতগুলো বেড থাকার কথা, সেটা নেই। সরকারি দলের প্রতিনিধি হয়ে তিনি যখন এই কথাগুলো বলছেন, তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থুতু ফেলছেন। আমরা আন্দোলন করছি, প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে তো আমাদের এসে টাকা দিয়ে যাচ্ছে না। এরকম প্রমাণ থাকলে উনি দেখাক সেটা।' (আরও পড়ুন: 'কোটি কোটি টাকার বকেয়া মেটানোর পর...', এই কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪%, প্রশংসা CM-এর)
আরও পড়ুন: 'সপ্তম বেতন কমিশনের সুবিধা...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় রায় আদালতের
এর আগে দেবাংশু ভট্টাচার্য ডাক্তারদের ধর্মঘট হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাত দেখছি না। মাওবাদীরা বলে আমরা মানুষ মারি প্রতিবাদের জন্য। জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন আমরা মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসা বন্ধ রেখে মানুষ মারব। ডাক্তারদের এই হুমকির মানে কী? এর অর্থ হল আমাদের আবদার মানা না হলে আমরা মানুষ মারা শুরু করব। চিকিৎসা বন্ধ রাখা মানেই মানুষ মারা। মানুষ মারাকে যদি প্রতিবাদের অস্ত্র হিসাবে গ্রহণ করে তাহলে আমি জুনিয়র ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাৎ দেখছি না।' (আরও পড়ুন: খলিস্তানিরা কানাডার 'গোপন এজেন্ট', বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাইকমিশনারের)
আরও পড়ুন: জার্মানিগামী ভিস্তারার বিমানে বোমাতঙ্ক, আফগান আকাশসীমায় ঢুকতেই দিল না তালিবানরা
তিনি আরও বলেন, 'জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছে স্বাস্থ্য মাফিয়া, বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের শ্রীখন্ডী হিসাবে দাঁড় করিয়ে কলকাঠি নাড়ছে। কারণ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা যত ভেঙে পড়বে ততই বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি ফুলে ফেঁপে উঠবে। আমি চাই, জুনিয়র ডাক্তারদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক হোক। জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন ত্যাগ করে কাজে ফিরুক। তাঁদের পিছন থেকে যাঁরা কলকাঠি নাড়ছেন, তাঁদের চিনতে শিখুক।'