গত ১ মাস ধরে সাধারণ মানুষের আন্দোলন, প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কলকাতার রাস্তা। ১৪ অগস্টের পর থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রাত দখলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। আর এরই মাঝে গত ৫ দিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনায় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গতকাল ফের একবার 'রাত দখলের' ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগে গত ১৪ অগস্ট, ঠিক এক মাস আগে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম রাত দখলের কর্মসূচি পালিত হয়েছিল স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। এরপর থেকেই সুপ্রিম শুনানির আগের রাত বা ছুটির আগের রাতগুলিতে পালিত হয়েছে রাত দখল। এরই মাঝে আজ আবার ধরনামঞ্চে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবদেন জানান। তবে ডাক্তাররা দাবি করেন, আন্দোলন জারি থাকবে। তবে আলোচনা করতে চান তাঁরা। (আরও পড়ুন: 'তাদের শিবির থেকেই অডিয়ো লিক...', কলতানের গ্রেফতারির পর ফের সরব কুণাল)
আরও পড়ুন: জারি আন্দোলন, তবে কাজে ফেরা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জুনিয়র ডাক্তাররা: রিপোর্ট
আরও পড়ুন: নারকো টেস্টে 'না', কাউকে কি বাঁচাচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়?
রিপোর্ট অনুযায়ী, সল্টলেকের ধর্নামঞ্চ থেকেই রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা গতকাল অভিযোগ করেন, 'বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং কিছু মিডিয়া চ্যানেল আমাদের আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকেই রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এক মাস আগে সাধারণ মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিচার চাইতে পথে নেমেছিলেন। সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে আরজি করে হামলা চালানো হয়েছিল। (আরও পড়ুন: মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তেছে 'লাইভ কাঁটায়','শর্ত' নিয়ে মুখ খুললেন নির্যতিতার মা)
এক মাস পর আবার সেই ঘটনাকে মনে রেখে আমরা রাত দখলের ডাক দিচ্ছি। আমাদের আহ্বান ‘রিক্লেম দ্য নাইট, রিক্লেম দ্য ফাইট এবং রিক্লেম দ্য রাইটের’ জন্য। প্রতিবাদে আবার কলকাতা শহরের রাস্তা আপনারা মুখর করে তুলুন, এটাই আমাদের আবেদন।' (আরও পড়ুন: গালওয়ান সহ ৪ জায়গা থেকে সরেছে সেনা, ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর বড় দাবি চিনের)
আরও পড়ুন: পুজোর আগে চিন্তা দূর বাংলার বহু সরকারি কর্মীর, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের
আরও পড়ুন: ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই ফের মৃত্যু আরজি করে, এবার প্রাণ গেল ২৪-এর যুবকের
এদিকে আজই ধরনামঞ্চে গিয়ে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা বলেন, 'কাল সারারাত ঘুমোতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আপনারা যেভাবে বসে আছেন, তাতে আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে। ৩৩-৩৪ দিন আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন আমাকেও পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়।' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কাজে যোগ দিন। আমি আপনাদের দাবিগুলো দেখব। আমি একা সরকার চালাই না। আমি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। আমাকে একটু সময় দিন। আপনাদের প্রতি আমি কোনও অবিচার করব না। কাজে ফিরুন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স ও পুলিশ থাকবে তাতে। আরজি কর সহ সব কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম।'