গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপতালে কি তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করেছিল সঞ্জয় রায়? এই নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে এখনও। তবে শিয়ালদা আদালতে সিবিআই নিশ্চিত যে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। এই আবহে ধৃতের 'ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট' বা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলার ফাইনাল সাবমিশনে সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আর্জি জানায় সিবিআই। (আরও পড়ুন: 'আল্লাহর আইন ছাড়া কিছু চলবে না', বাংলাদেশে সংবিধান বদলের জল্পনা বাড়াল জামাত)
আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...
এদিকে এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বক্তব্য, একা কেবল ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র নয়, এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সিবিআই তদন্তের বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এর আগে নতুন করে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হওয়ায়, হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নির্যাতিতার পরিবারের আর্জি, হাইকোর্টকে এই মামলা শোনার অনুমতি দিক সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ উঠেছে, সাক্ষীদের মধ্যে নির্যাতিতার মা নিজেই ছিলেন, অথচ তাঁর সাক্ষ্য নেওয়াই হয়নি। (আরও পড়ুন: একদিনে ১৫ কিমি… বাঘিনী জিনাতের পিছু নিয়ে পুরুলিয়ার সীমানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার)
আরও পড়ুন: 'দ্বিতীয় আরজি কর হবে', শান্তিপুরে মহিলা ডাক্তারকে হুমকি সুপারের, নিষ্ক্রিয় পুলিশ
এদিকে সম্প্রতি সিএফএসএল-এর একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল যাতে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে কোনও বীর্য মেলেনি। তবে সেখানে যে ডিএনএ মিলেছে, তা একাধিক ব্যক্তির মিশ্রিত ডিএনএ হতে পারে। আবার অপর এক রিপোর্টে দাবি করা হল, নির্যাতিতার যোনিদ্বারে যে ডিএনএ মিলেছে, তাতে এক মহিলার ডিএনএ উপস্থিত আছে। টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার যোনিদ্বার থেকে মেলা ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে নির্যাতিতার নমুনার মিশ্রণ স্পষ্ট। সেই অন্য মহিলার জেনোটাইপ হল 16/22। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ)
আরও পড়ুন: 'দলে দু’রকমের মত রয়েছে...', মমতার মন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তিতে চরমে জল্পনা
জানা যায়, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ২৯টি ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণ কর হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএলের রিপোর্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে নাকি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্রের শেষ ভাগ, স্তনবৃন্ত, যোনিদ্বারে ডিএনএ নমুনায় 'গোলমেলে ইঙ্গিত' রয়েছে। দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্র সহ বেশ কিছু অঙ্গ থেকে যে ডিএনএ-র নমুনা মিলেছে, তা এক নারীর। তবে সেই নমুনার কয়েকটি মার্কারে ইঙ্গিত মিলেছে যে সেই ডিএনএ নির্যাতিতার নয়। তা সঞ্জয়েরও নয়। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে অন্য এক মহিলার ডিএনএ এল নির্যাতিতার দেহে? এদিকে রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, স্তনবৃন্ত থেকে পাওয়া ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তার সাথে সঞ্জয়ের ডিএনএ মিলে যাচ্ছে। তবে ৪টি অটোসোমাল মার্কার বিশ্লেষণে নাকি অন্য পুরুষেরও ডিএনএ থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। এই আবহে ফের আরজি কর কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই আবহে আরজি কর মামলায় সিবিআই ফাইনাল সাবমিশনে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি জানায়।