আরজি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। তাঁর পরিবর্তে এবার আইনজীবী করুণা নন্দীকে নিয়োগ করলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার। এর আগে এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলায় ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’ অর্থাৎ চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করছিলেন করুণা নন্দী। এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মামলা ছাড়ার বিবৃতি প্রকাশের আগে বৃন্দার তরফ থেকে নির্যাতিতার পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি। তবে আরজি করে খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছিলেন, বৃন্দা যদি যদি মামলা না লড়েন, তাহলে অন্য কাউকে ঠিক করা হবে। এদিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে অভয় প্রদান করেছেন জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা। পরিবারকে সব রকমের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। আর সেই চিকিৎসকদেরই আইনজীবী এবার সওয়াল করবেন নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ৪ হিন্দুর, গ্রেফতার করল BGB)
আরও পড়ুন: সত্যি আলাদা হবে চট্টগ্রাম? আতঙ্কে ভারতের ইকোনমিক জোন বাতিলের দাবি বাংলাদেশে
এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছিল বৃন্দা গ্রোভারের কাছ থেকে। এরপরই নাকি তিনি এবং তাঁর দল এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর নিয়ে যে শুনানি হয়, সেখানে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সিবিআইয়ের হয়ে দাবি করেছিলেন, তদন্তের গতিবিধি নিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সলিসিটর জেনারেলের সেই দাবির বিরোধিতা করেননি নির্যাতিতার হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। এই নিয়েই নাকি বৃন্দার কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই নিয়ে দুই পক্ষের কথাবার্তার পরে বৃন্দা এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। (আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ধর্ষণ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের চিকিৎসকের! পরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ)
আরও পড়ুন: হেনস্থার শিকার হয়েও দমছেন না চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী, এদিকে করলেন পুলিশের প্রশংসা
উল্লেখ্য, আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে সিবিআই মিথ্যে বলেছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সিবিআই মোটেও তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে না। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে যখন সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সিবিআই যোগাযোগ রেখে চলেছে, তখন তা নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি নির্যাতিতা চিকিৎসকের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। অসন্তোষ প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে। সঙ্গে বৃন্দার ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টাই 'র এজেন্ট'? মুখ খুললেন ইউনুসের সরকারে থাকা ছাত্র নেতা)
নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে না সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে যে এরকমভাবে মিথ্যে বলা যায়, তা তাঁরা জানতেন না। সিবিআই আশ্বাস দিয়েছিল যে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশের সময় তাঁদের জানানো হবে। সেটা করা হয়নি। তাঁদের না জানিয়েই আরজি কর মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কবে পেশ করবে সিবিআই, সে বিষয়েও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা।