আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু আ কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক অনির্বাণ দাস। এর আগে গত শনিবার আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বললেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। (আরও পড়ুন: জেলে ক্যারম খেলল সঞ্জয় রায়, আরজি কর কাণ্ডে দোষীর রাত কেমন কাটল?)
আরও পড়ুন: 'ওর নামে মেয়ে ঘটিত অভিযোগ শুনিনি… আরজি করে অন্য কেউ…', মুখ খুললেন সঞ্জয়ের বোন
এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল, আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বিরলের থেকে বিরলতম। এই আবহে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সিবিআইয়ের দাবি মেনে নিলেন না বিচারক। এদিকে সিবিআইয়ের পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীও ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: 'ছেলের ফাঁসি হোক…একা কাঁদব', আরজি করের নির্যাতিতাকে 'মেয়ের মতো' বললেন সঞ্জয়ের মা)
এদিকে সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার পরই নির্যাতিতার মা-বাবা এজলাসে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না, আমরা বিচার চাই। এরপর বিচারক বলেন, আমি জানি আপনারা ক্ষতিপূরণ চান না। তবে আইনের বিধান অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর এই টাকা নিয়ে কী করবেন, তা আপনাদের বিষয়। (আরও পড়ুন: নাবালিকা থাকাকালীন দলিত কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫৯ জন! গ্রেফতার তার মধ্যে ৫৭)
আরও পড়ুন: সাজা ঘোষণা আরজি কর মামলায়, ফাঁসি নয় সঞ্জয় রায়ের, কী কী হল আদালতে?
এর আগে আজ সঞ্জয় রায় আদালতে শুনানি চলাকালীন বলেছিল, 'আমি এই কাজটা করিনি। বিনা কারণে ফাঁসিয়েছে। আমি যদি কাজটা করতাম তাহলে… আমি জানতে পেরেছি এত কিছু নষ্ট হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে যেত। আমাকে প্রথমদিন থেকেই ফাঁসানো হয়েছে। অত্যাচার করা হয়েছে। এখানে ওখানে সাইন করাচ্ছে, লেখাচ্ছে। সিবিআই বলল, মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যাবে।বেহালা থেকেই গাড়ি ঘুরে যায়। জোকায় মেডিক্যাল হল না। ইএসআই-এর পর কমান্ডেও হল না। এখানে এসে হল। আপনি বিচার করুন।'