এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলেন আরজি কর নির্যতিতার মা-বাবা। রাজভবনে গিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সিভি আনন্দ বোসের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'সিবিআই নিয়ে যা যা অভিযোগ আছে, তা লিখিত আকারে জমা দিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে।' (আরও পড়ুন: ইউনুস সরকার কি 'জামাতের এজেন্ট'? বিতর্কে উস্কে বিস্ফোরক BNP-র 'কট্টর' নেতা)
আরও পড়ুন: 'মহাশূন্যে যোগব্যায়াম করব', বললেন মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে রান্নায় মগ্ন শুভাংশু
আরজি কর নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'রাজ্যপালের কাছে লিখিত আকারে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি যাতে তিনি উচ্চপর্যায়ে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তিনি যাতে সম্ভব হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করান আমাদের। রাজ্যপাল আশ্বস্ত করে বলেছেন ন্যায় বিচার আমরা পাব।' এদিকে র্যাতিতার মা বলেন, 'রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলেছেন। আমাদেরও বললেন রাষ্ট্রপতিকে মেইল করে রাখতে। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি আমরা।' (আরও পড়ুন: উনি আমার ভাইয়ের মতো… শান্ত গলায় TMC বিধায়ককে কড়া জবাব আরজি কর নির্যাতিতার বাবার)
এর আগে গতকাল আরজি কর মেডিক্যালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা বাবার সঙ্গে দেখা করে বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, নির্যাতিতার বাবা তাঁকে জানিয়েছেন, মেয়ের মৃতদেহের সামনে হাসতে হাসতে তাঁকে টাকা নিয়ে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনকী প্রকাশ্যে মুখ খুললে দোষী ছাড়া পেয়ে যাবে বলে ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছিল নির্যাতিতার বাবা মাকে। (আরও পড়ুন: জামিনে জেলমুক্তির ১৫ দিন যেতে না যেতেই ২টি বিধানসভা কমিটিতে স্থান পেলেন বালু)
আরও পড়ুন: আচমকাই সাহস বাড়ছে আওয়ামিপন্থীদের, বাংলাদেশে মিছিল বের করল 'নিষিদ্ধ' ছাত্রলিগ
সুকান্ত বলেন, 'ওনাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হল। আমাকে ওনারা অনেক কথা বললেন। নির্যাতিতার বাবা আমাকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যখন বাড়িতে মেয়ের দেহ শায়িত রয়েছে তখন আমার হাতে টাকার প্যাকেট দিতে চেয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। হাসতে হাসতে তিনি আমার দিকে টাকার প্যাকেটটা এগিয়ে দেন। তখন সেখানে ছিলেন ডিসি নর্থ। আমি ওনাকে বলি, আপনি যত কষ্ট করে আইপিএস হয়েছেন তার থেকে বেশি কষ্ট করে আমার মেয়ে ডাক্তার হয়েছে।' সুকান্তবাবু আরও দাবি করেন, পুলিশ নির্যাতিতার বাবাকে ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে থাকতে বাধ্য করেছিল। তিনি বলেন, নির্যাতিতার বাবা আমাকে বলেছেন, ঘটনার পর পুলিশ আমাকে বলে, প্রকাশ্যে মুখ খুললে দোষী ছাড়া পেয়ে যাবে। সেই ভয়ে আমরা মুখ খুলিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতির সংযোজন, আমি যখন ঘটনার ৪ দিনের মাথায় এই বাড়িতে এসেছিলাম তখন ওরাও চাননি আমি দোতলায় যাই। পুলিশ ভয় দেখিয়ে রাখায় তারা এতদিন চুপ ছিলেন। কিন্তু এখন আদালতের রায় হাতে আসায় মুখ খুলেছেন।