বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটের ক্ষেত্রে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। এবার এই নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। তবে তা জোট করেই। আরজেডির নির্বাচনী ম্যানেজাররা তেমনই চাইছেন বলে খবর।
কিন্তু এতে ভোট ভাগ হয়ে যাবে না? এই প্রশ্নের জবাবে আরজেডির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছি না। বরং ধর্মনিরপেক্ষ ভোট যাতে বিভক্ত না হয় তার চেষ্টা করছি।’ অর্থাৎ যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবে না, তাঁরা যেন বিজেপিকে ভোটও না দেয়। বরং সেই ভোট আরজেডিকে দেওয়া হোক।
তিনি আরও জানান, এই ভোটটা কম নয়। সেটাকে ধরতে পারলে বিজেপি লাভবান হতে পারবে না। আঞ্চলিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ। এখনও দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে দল বলে প্রাথমিক কথা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ২০০০ সাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি আসনে। এক, বড়বাজার (জোড়াসাঁকো)। দুই, খড়গপুর। তখন বামেদের সঙ্গে জোট ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আরজেডি। তবে তাতে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে বড়বাজার আসনটি জিতেছিল আরজেডি। আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিং জানান, আগামী সপ্তাহে বাংলার নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে এনডিএ জোটে থাকা বিহারে নীতীশের দল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে খবর। হিন্দুস্তানি আওম মোর্চা (সেকুলার) নামে প্রতিবেশী রাজ্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছে। তবে আরজেডির বৈঠকটি করবেন তেজস্বী যাদব।