ইদের দিনে ঘটল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেপরোয়া গতিতে চলা সরকারি বাস ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সায়। তার জেরে একজন রিক্সাচালক ব্যাপক আহত হয়েছেন। আর একজন মারা গিয়েছেন। সল্টলেকে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক রিক্সা চালকের। আর আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। বাসে থাকা যাত্রীরাও আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি বাসের চালক ঘটনার পর পলাতক।
ঠিক কী ঘটেছে সল্টলেকে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ ইএম বাইপাস থেকে সল্টলেকের দিকে প্রবেশ করছিল এস ৯ রুটের একটি সরকারি বাস। আর তখনই তীব্র গতিতে থাকায় সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিগন্যাল ভেঙে বাইপাস থেকে সল্টলেকের রাস্তায় ঢুকে পড়ে। বাসের গতি বেশি থাকায় তখন জিসি আইল্যান্ডের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি রিক্সায় সজোরে ধাক্কা মারে সরকারি বাসটি। তার জেরে ডিভাইডারে উঠে গিয়ে একটি গাছ এবং পাঁচিলে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায় সরকারি বাস। ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দুই রিক্সাচালক।
তারপর ঠিক কী ঘটল? মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা দেখেই ছুটে আসেন পথচারীরা। আর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। দুই রিক্সাচালক এবং কয়েকজন আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই এক রিক্সাচালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সরকারি বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল বলেই এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান পথচারীরা। তীব্র গতির জেরেই আইল্যান্ডের কাছে এসে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি সরকারি বাসের চালক। বাসের কয়েকজন যাত্রীও এই দুর্ঘটনায় আহত হন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত রিক্সা চালকের নাম বৃন্দাবন প্রধান (৬৫)। এই রিক্সাচালকের আদি বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কিন্তু কাজের সূত্রে বৃন্দাবন প্রধান কেষ্টপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। পথ দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছে সরকারি বাসের চালক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। এই পথ দুর্ঘটনার পর আবার একবার সল্টলেকে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আসলে বিভিন্ন আইল্যান্ডের সিগন্যালগুলি ঠিক মতো কাজ করে না বলে অভিযোগ। আবার সেগুলি মানে না সরকারি বাস বলেও অভিযোগ। আর বাস চালকরা সিগন্যাল না মেনে বেপরোয়া গতিতে চালায় পথ দুর্ঘটনা ঘটছে।