বর্ষার আগেই এবার কলকাতার রাস্তাগুলিতে মেরামতি করার উদ্যোগ। কলকাতার একাধিক রাস্তাকে ঝা চকচকে করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের সড়ক বিভাগ ইতিমধ্যেই এনিয়ে আলোচনা করেছে।
প্রথমেই সিআইটি রোডের সম্প্রসারিত অংশ অর্থাৎ ফুলবাগান থেকে উলটোডাঙা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আরও মসৃন হবে রাস্তা। দক্ষিণ কলকাতায় এসপি মুখার্জি রোড, আলিপুর রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, হাজরা রোডকেও মেরামতি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কেএমসি সূত্রে খবর, আগামী ১৫দিনের মধ্যে সিআইটি রোডের সংস্কারের কাজ করা হবে। এপিসি রায় রোডের কাজ শেষ করার পরেই সিআইটি রোডের উপর নজর দেওয়া হবে।
এদিকে সিআইটি রোডের সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পরেই দক্ষিণ কলকাতার রাস্তাগুলি মেরামতির উপর নজর দেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে এসপি মুখার্জি রোড, আলিপুর রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, হাজরা রোডকেও মেরামতি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে বছর খানেক আগেই এই রাস্তাগুলি সংস্কার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রাস্তায় বেরিয়ে যাতে গাড়ি চালকরা স্বচ্ছন্দে যেতে পারেন, যাতে বাইক চালকরা যাতে ঠিকঠাক করে যেতে পারেন সেটা দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই নির্দেশকে বাস্তবে পরিণত করতে চাইছে সরকার।
আর রাস্তায় বেরিয়ে খানাখন্দে পড়ার দিন শেষ। একেবারে মাখনের মতো হয়ে যাবে কলকাতার রাস্তা। কেএমসির এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাইক চালকরা মাঝেমধ্য়েই অভিযোগ করতেন এই রাস্তায় আর বাইক চালানো যাচ্ছে না। একাধিক ক্ষেত্রে উঁচুনীচু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাইক চালকদের।
মূলত একাধিক ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে রাস্তা মেরামতি করতে গিয়েছে রাস্তার মসৃনতা হারিয়ে গিয়েছে। এর জেরে একাধিক জায়গায় রাস্তা উঁচু নীচু হয়ে গিয়েছে। সেই রাস্তাগুলিকে মসৃন করাটাই এখন পুর দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাস্তার উপরিভাগকে মসৃন করা হলে গাড়ি চালকদের সুবিধা হয়। কারণ উঁচু, নীচু রাস্তায় বিশেষত রাতে বাইক চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এবার অনেকটাই রেহাই মিলবে রোজকার সমস্যা থেকে।
ঠিক করা হয়েছে মোটামুটি ৪৮টি রাস্তাকে মসৃন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় জলের পাইপলাইনের কাজের জন্য রাস্তা নষ্ট হয়েছে। সেগুলিও মেরামতি করা হবে।