আবারও কলকাতায় ফিরল রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি। পাটুলিতে যুবকের মৃতদেহ আগলে প্রায় তিন-চারদিন বাড়িতে বসে থাকলেন বাবা, মা এবং বোন। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পাটুলির অশোক রো এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। সেজন্য ওই বাড়িতে ডাকাডাকি শুরু করেন স্থানীয়রা। কিন্তু দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। সেখানে এসে পুলিশকর্মীরা দেখেন, বাড়ির একতলার মেঝেতে বছর ৩৫-এর এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশে বসে আছেন যুবকের বাবা, মা এবং বোন। যুবকের বাবা দাবি করেন, ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দিনকয়েকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্রত্যেকের আচরণেই অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না তাঁদের ব্যবহার, আচার-আচরণ। তারপর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিন থেকে পাঁচদিন আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে যুবকের মৃ্ত্যু হয়েছে, কতদিন আগে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। যুবকের বাবা, মা এবং বোনের মানসিক অবস্থা কেমন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বছর নভেম্বরে পাটুলিতে এসেছিল পরিবারটি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কেউ তেমন কথা বলতেন না। মেলামেশাও করতেন না তেমন। নিজেদের মতোই থাকতেন পুরোপুরি।
একইভাবে বছর ছয়েক আগে রবিনসন স্ট্রিটে দিদির মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন এক প্রৌঢ়। সেই ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তারপর থেকে কলকাতায় একাধিকবার এরকম মৃতদেহ আগলে রাখার খবর মিলেছে।