ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলার প্রশ্নপত্র- আর সেই প্রশ্নপত্রে যুক্তাক্ষরের হাল দেখে আঁতকে উঠলেন নেটিজেনদের একাংশ। কারণ যেরকমভাবে বাংলায় কোনও শব্দ লেখা হয়, সেরকমভাবে লেখা ছিল না। আর তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দমদম এলাকার একটি স্কুলের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ওই স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় সেই প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। যে স্কুলটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট এগজামিনেশনের (CISCE) বলে ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুপুরে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-র তরফে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে, তা জানতে চায় ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’। তবে প্রশ্নটা শোনার পরেই কোনও উত্তর না দিয়ে ফোনটা রেখে দেওয়া হয়।
প্রশ্নপত্র দেখে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
বাংলা পক্ষের এক সদস্য সংকলন ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘হেই পুওর নেটিভ ঠুমরা এতো দিন রং বেঙ্গলি জানিতে। এখন ঠেকে হামরা যাহা বেঙ্গলি পড়াইব, তাই আসল বেঙ্গলি হইবেক। বাংলা যুক্তাক্ষরের (যুক্তবর্ণ) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সুসম্পন্ন করে ফেলেছে।’ অপর একজন বলেন, ‘বাংলা ভাষার অপমান..স্কুল কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে।’
অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘এলিটদের স্কুলের করা প্রশ্ন।’ একজন আবার বলেন, ‘প্ র শ্ ন মানে যে প্রশ্ন, আমি তিন-চারবার পড়ে বুঝলাম।’ ওই নেটিজেন আরও বলেছেন, ‘হাতে লিখেই প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারত। আর সেটার ফোটোকপি করে পড়ুয়াদের দিলে ভাষাটর সম্মান বজায় রাখা যেত।’
যুক্তবর্ণ কেন ওরকমভাবে এসেছে?
নিউ আলিপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক শিক্ষক জানান, যিনি প্রশ্ন করেছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি। তিনি সম্ভবত ওয়ার্ড ফাইলে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছিলেন। সেইসময় যুক্তবর্ণ ঠিকই ছিল। কিন্তু প্রিন্ট-আউটের সময় বিপত্তি হয়েছে। যুক্তবর্ণগুলি ভেঙে গিয়েছে। আর তারপর সেটা কেউ আর দেখেননি। তার জেরেই পড়ুয়াদের ওরকম উদ্ভট প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।
‘সতর্ক থাকা উচিত ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের’
ওই শিক্ষকের বক্তব্য, পিডিএফ হিসেবে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করলেই এরকম সমস্যা হয় না। তারপরও প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখেই পড়ুয়াদের দেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। অপর এক শিক্ষকের মতে, বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। নাহলে পড়ুয়াদের কাছেও ভুল বার্তা যাবে।