কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক অধ্য়াপকের জন্মদিন। আর সেই জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় স্তরের সেমিনার। এই সেমিনাররে উপলক্ষকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এনিয়ে নানা মহলে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছিল। তারপরই এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠে। আপাতত ওই সেমিনার হলেও সেখানে কীসের উপলক্ষে সেটা করা হচ্ছে সেটা বলা হয়নি।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনি রসায়ন বিভাগের অধ্য়াপক আশুতোষ ঘোষ। তাঁর ৬৫ বছরের জন্মদিন। আর সেই জন্মদিন উপলক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিকে ওই অধ্য়াপক হুগলির রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। একটি সময়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। তাঁরই জন্মদিন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল।
আসলে মূলত রসায়ন বিভাগের উদ্য়োগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যে চিঠি করা হয়েছিল তাতে ওই অধ্য়াপকের ছবি ও তাঁর ৬৫ তম জন্মদিনের কথা উল্লেখ করা ছিল। সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শান্তা দত্তর হাতে যায়। তিনি কার্যত এই ধরনের চিঠি দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। তারপরই এনিয়ে তিনি নিজেও আপত্তি তোলেন।
ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে শান্তা দত্ত শিক্ষকদের ডেকে জানিয়ে দেন, এটা হতে পারে না। তিনি জানিয়েছিলেন, অভূতপূর্ব কাণ্ড হতে যাচ্ছিল। আমি আপত্তি করার পরে তা বন্ধ হয়েছে। আমাকে রসায়ন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে সেমিনারের ব্যাপারে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে একথাও জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু যে অধ্য়াপকের জন্মদিন নিয়ে এত কিছু তিনি কী বললেন?
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনি জানিয়েছেন, সামনেই তাঁর অবসর রয়েছে। সেই উপলক্ষেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগেও অন্য অধ্য়াপকদের অবসরের সময় এমন ঘটনা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে না লিখে যদি তাঁর অবসর উপলক্ষে এই বিষয়টি করা হত তবে ভালো হত।
তবে সূত্রের খবর, মূলত চিঠিটি যে বয়ানে লেখা হয়েছিল তা নিয়েই আপত্তি ওঠে। কেন ওই অধ্যাপকের জন্মদিন উপলক্ষে লেখা হয়েছিল তা নিয়েই আপত্তি ওঠে। তবে উদ্যোক্তারা অবশ্য় গোটা বিষয়টি পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখছেন। তাঁরা সেমিনারের আয়োজন করছেন। কিন্তু সেখানে আর ওই অধ্য়াপকের জন্মদিন উপলক্ষে এটা করা হচ্ছে সেটা উল্লেখ করা থাকছে না।