কাজ পাইয়ে দেওয়া নাম করে চলছিল নাবালকদের পাচার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই পাচারকারীদের সেই উদ্দেশ্য বানচাল করল আরপিএফ। পাচারের অভিযোগে আজ ভোরে কলকাতা স্টেশন থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। উদ্ধার হয়েছে ১৭ জন কিশোর। তাদের শিশুকল্যাণ কমিটির সামনে হাজির করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাদের হোমে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি কিশোরদের বিহার থেকে কাজের টোপ দিয়ে কলকাতায় আনা হচ্ছিল। গতকাল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে এই কিশোরদের পাচারের খবর পায় আরপিএফ। জানা যায়, বিহারের কাটিহার থেকে ওই কিশোরদের আনা হচ্ছে। এর জন্য রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে করে তাদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানতে পারে আরপিএফ। গোপন সূত্রের খবর মতোই, তিন যুবক ওই কিশোরদের নিয়ে কাটিহারের কাছে বারসোই স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে।
তবে আদৌও এটি পাচারের ঘটনা কি না তা জানার জন্য সাদা পোশাকে মালদহ স্টেশনে নজরদারি চালানোর কথা ছিল আরপিএফের। কিন্তু, পরে নিউ ফারাক্কা স্টেশন থেকে সাদা পোশাকে ওই কিশোরদের উপর নজর রাখা হয়। আরপিএফ জানতে পারে ট্রেনের এসি ১ কামরায় করে ওই কিশোরদের কলকাতায় আনা হচ্ছিল। আরপিএফের একজন বেশে নাবালকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে তাদের কলকাতায় নিয়ে এসে কাউকে নির্মাণ কাজে, কাউকে পরিচারকের কাজে, আবার কাউকে জরির কাজে লাগানো হবে। তিন যুবক তাদের কাজ পাইয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই কিশোরদের।
এরপর গতকাল ভোরে ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছনো মাত্রই ৩ যুবককে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে কিশোরদেরও নিয়ে যায় আরপিএফ। এ বিষয়ে আরপিএফের তদন্তকারী অফিসার রুহি শর্মা জানান, শিশু অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি স্বেচ্ছা ছবি সংগঠনের সঙ্গে আরপিএফের মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। তারাই এই ধরনের পাচার রোধে আরপিএফকে তথ্য দিয়েছিল। সংগঠনের পক্ষ থেকে অরিজিৎ অধিকারী বলেছেন, কেউ ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে, আবার কেউ অভিভাবক সেজে শিশুদের পাচার করছে।