রেলের দূরপাল্লার টিকিটের দালালচক্রের পর্দা ফাঁস করল আরপিএফ। অবৈধভাবে টিকিট বিক্রির অভিযোগে এবার আরপিএফের জালে ধরা পড়ল একজন লাইসেন্সধারী কুলি। ধৃতের নাম বৈকুণ্ঠ গণ্ড। তার কাছ থেকে ১১টি সংরক্ষিত টিকিট উদ্ধার করেছে আরপিএফ। এই টিকিটের মূল্য প্রায় ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা। এর পাশাপাশি তার কাছ থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে আরপিএফ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত টিকিট ভিন রাজ্যের বুকিং কাউন্টার থেকে কেটে কলকাতায় আনা হয়েছিল। তারপরে চাহিদামাফিক সেগুলি বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই বেশ কয়জনকে যাত্রীকে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনেরকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। তার নাম সউদুল শেখ। আরপিএফ জানতে পেরেছে, এই সমস্ত সংরক্ষিত টিকিট পঞ্জাব মেল, দানপুর এক্সপ্রেস, শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে করে হাওড়ায় তাদের কাছে পাঠানো হত। এরপরে ওই কুলি টিকিট দালালদের হাতে তুলে দিত। অবৈধভাবে টিকিট বিক্রির খবর আরপিএফের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরে ছিল। কিন্তু, এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত তা প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি আরপিএফ। অবশেষে ওই কুলিকে হাতেনাতে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে আরপিএফ।
প্রসঙ্গত, টিকিটের দালালরাজ রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে আরপিএফ। সম্প্রতি, টিকিটের দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রীকে টুইট করে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রেলের এক যাত্রী। তার অভিযোগ ছিল, তিনি ব্যান্ডেল স্টেশনে রিজার্ভেশনের জন্য লাইনে প্রথমে ছিলেন। অথচ রাতভর টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো পরেও ক্লার্ক এসে তাকে জানিয়ে দেন, তার নাম নেই। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এটা অবৈধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।