তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনার মধ্যেই পুরনো দল সিপিআইএমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সঙ্গে সমর্থন করলেন, CAA ও NRC-কে। রুদ্রনীলের প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার দায় কি শুধু হিন্দুদের?
আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি বিজেপি-র প্রতি ভীষণ রাগ হওয়ার কারণ খুঁজে পাইনি। তবে অনেকেই সিএএ ও এনআরসি, কৃষক আইন প্রভৃতি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কয়েক জন বামপন্থী যতটা বুঝে গিয়েছেন, অতটা বোধহয় বুঝিনি আমি। লোকে বলে, এই আইনটি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। কিন্তু এইটুকু বোঝার জ্ঞান আমার রয়েছে যে, আদপে এ ভাবে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য নাগরিকত্ব দেওয়া। আর তাদেরকে চিহ্নিত করা, যাদের নাগরিকত্ব নেই।’ সঙ্গে অভিনেতার প্রশ্ন, বাম জমানায় অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত লম্ফঝম্প করলেও ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সুর বদলে গেল কেন?
বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার যাবতীয় দায়দায়িত্ব কেবল হিন্দুদেরকেই নিতে হবে? এরকম যেন লেখা রয়েছে কোথাও এবং সেটাই মেনে চলা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু হিন্দু বন্ধুর কাছ থেকে ও-পারের খবর আসে আমার কাছে। তাঁরা যে ভাবে অত্যাচারিত হন, তাঁদেরকে আশ্রয় দেওয়াটা কি অন্যায়? আমাদের আশপাশের কিছু দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়াটা কি অন্যায়? সব থেকে বড় কথা, ভারতবর্ষে কিন্ত মুসলিমরা আর সংখ্যালঘু নয়। ওই পাঁচ শতাংশে আটকে নেই সংখ্যাটা। বরং জৈন ও খ্রিস্টানদের সংখ্যালঘুর তালিকায় ফেলতে পারি।’
তবে এদিনও অভিনেতা স্পষ্ট করেছেন, ভোটে দাঁড়ানো বা বিজেপিতে যোগদান নিয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।